আবু সায়েম:
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন মেহেরঘোনা রেঞ্জের অধীন কালিরছড়া ও মাছুয়াখালী বিটের পূর্ব ভুতিয়া পাড়া, পাহারতলি এবং পূর্ব কাদমর পাড়া এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে নবনির্মিত চারটি কাঁচা ঘর ও ২ টি পাকা ঘর কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকারের নির্দেশে
সহকারী বনসংরক্ষক মেহেরঘোনার সার্বিক তত্বাবধানে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ২ একর বনভূমি জবরদখল মুক্ত করে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এতে করে সরকারী সম্পদ ভূমিদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২ একর জমি। তবে ভূমিদস্যুদের কাউকে আটক করতে পারেনি।
২৭ ই জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেহেরঘোনা রেঞ্জের আওতাধীন মাছুয়াখালি বিট ও কালিরছড়া বিটের পূর্ব ভুতিয়া পাড়া, পাহারতলি এবং পূর্ব কাদমর পড়া এলাকায় রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ রহমানের নেতৃত্বে বিট কর্মকর্তা ও স্টাফদের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ভাবে জবরদখলকৃত নবনির্মিত ৪ টি কাঁচা ঘর ও ২ টি পাকা ঘর উচ্ছেদ করে জবরদখল মুক্ত করা হয়।বিষয়টি অবগত করেছেন মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ রহমান ।
তিনি বলেন ভূমিদস্যুদের জায়গা হবে না,। যারা বন বিভাগের জমি দখল করে জবরদখল করছে তাদের আমরা কঠোর হাতে প্রতিরোধ করবো। বনবিভাগের জমিতে অবৈধভাবে কাঁচা ঘর ও পাকা ঘর নির্মাণ করে সংরক্ষিত বনাঞ্চল জবরদখলের দায়ে অভিযান চালিয়ে ২ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে । অভিযানে কালিরছড়া ও মাছুয়াখালি বিট কর্মকর্তা ,ভিলেজারগণসহ স্টাফগণ অংশ গ্রহণ করে।
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ রহমান ।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বনবিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। সরকারি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করলে উচ্ছেদ করা হবে এবং জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বনভূমি রক্ষার্থে যথাযথ ভূমিকা পালন করবো। অভিযান চালিয়ে ভূমি জবরদখল এবং পাহাড়খেকোদের আইনের আওতায় আনা হবে। বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।