সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ফরিদ আহমদের শেষ কর্মদিবস ছিল ১৭ ফেব্রুয়ারী।
দীর্ঘ ৩০ বছরের কর্মজীবনের সমাপনী দিনে স্কুলের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।
প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা মোর্শেদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব এম.এম. সিরাজুল ইসলাম।
স্কুলের ফলাফল ও সামগ্রীক সাফল্যের পেছনে ফরিদ আহমদের অবদানের কথা স্বীকার করেন তিনি।
প্রধান অতিথি উল্লেখ করেন, শিক্ষার প্রসার ও বিস্তারে নিসন্দেহে ফরিদ আহমদ একজন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাছির উদ্দিন, দৈনিক কালের কন্ঠের কক্সবাজার ব্যুরো চীফ তোফায়েল আহমেদ, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন এবং বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক নির্মল চন্দ্র দে।
অন্যান্যের মাঝে বিদ্যালয়ের প্রাতঃ শাখার শিফ্ট ইনচার্জ লুৎফান্নেছা, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষিকা, ফেনি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা, সূপর্ণা চৌধুরী, উত্তর নুনিয়াছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফোরকানারা বেগম জোসনাসহ শিক্ষক, শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদ আহমেদ ছিলেন ভদ্র, বিনয়ী, সময়নিষ্ঠ এবং কাজ পাগল। দীর্ঘ কর্মজীবনে কাজের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা বেশ প্রশংসনীয়।
সিনিয়র শিক্ষক মানিক চন্দ্র দে’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদায়ী শিক্ষক ফরিদ আহমদকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা মোর্শেদাসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা।
এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের নবাগত শিক্ষক বদিউজ্জামান। শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বিদায়ী শিক্ষকের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন- নবাগত শিক্ষক শেখ সালেহ আহমেদ শাকিল।
বিদায়ী শিক্ষকের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সিনিয়র শিক্ষক দিদারুল আলম, সোহেল ইকবাল, শাহীনুর ইসমত আরা প্রমূখ।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৯ম শ্রেণির আয়েশা আনোয়ার বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষকগণের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন- সহকারি শিক্ষক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু জুবায়ের, সহকারি শিক্ষক সায়েদ ইমাম, সহকারি শিক্ষক নারায়ন প্রসাদ দেব, সিনিয়র শিক্ষিকা উম্মে জাহেদা সুলতানা, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রহিম, মোঃ আবু তৈয়ব, সোহেল ইকবাল, দিদারুল আলম।
অতিথি শিক্ষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফেনি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা সূপর্ণা চৌধুরী।
শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বিদায়ী শিক্ষক জনাব ফরিদ আহমদের সাথে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
প্রত্যেকেই বিদায়ী শিক্ষক জনাব ফরিদ আহমদের নিষ্ঠা ও কর্তব্যকর্মে একাগ্রতার কথা একবাক্যে স্বীকার করেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাছির উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বিদায়ী শিক্ষক জনাব ফরিদ আহমদের সিদ্ধান্তগ্রহণে পারঙ্গগমতার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি স্বীকার করেন- এই মাপের একজন শিক্ষকের শূণ্যস্থান কখনোই পূরণ হবার নয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, অবসরে যাওয়ার পরেও ফরিদ আহমদ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সময় ও সুযোগমতো সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে রাখবেন।
সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ শিক্ষকগণকে জাতি গঠনের কারিগর এবং পরম শ্রদ্ধার পাত্র বলে উল্লেখ করেন।
ফরিদ আহমদ একজন অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব বলে জানান। অবসরোত্তর জীবনে তিনি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জনাব মাসুদা মোর্শেদা বিদায়ী শিক্ষক ফরিদ আহমদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি তার সমাপণী বক্তব্যে স্বীকার করেন ফরিদ আহমদ কেবলমাত্র একজন শিক্ষাবান্ধব শিক্ষকই ছিলেন না, শিক্ষকবান্ধবও বটে। যার প্রমাণ পাওয়া যায় তার প্রতি সহকর্মীদের অবিচল আস্থা থেকে।