এস.এম.জুবাইদ,পেকুয়া

পেকুয়ার প্রতিটি গ্রামের মহল্লায় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে ঘরে ঘরে যাচ্চেন ইউএনও পূর্বিতা চাকমা।

২৫ ফেব্রুয়ারী সকাল থেকে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক ঝাকঁ তরুণ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে মানবিককর্মে ছুটে গেলেন।

এসময় তিনি সার্বক্ষণিক ভাবে নিয়োজিত থেকে প্রান্তীক জনগোষ্ঠীর মাঝে করোনার টীকা নিয়ে ভ্রাম্যমান ভ্যাক্সিন টীম/২২.কোভিট -১৯ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং মানুষকে সচেতনতায় উৎবুদ্ধ করছেন।

জানা যায়, কোভিট ১৯ ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারী।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমার নেতৃত্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মীদের ভ্রাম্যমান ভ্যাক্সিন টিম গঠন করে এক দিনে সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ২৫০ জন নারী পুরুষ কে কোভিট ১৯ ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দিয়েছেন।

এছাড়াও একই ভাবে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কর্মী নিয়ে ভ্রাম্যমান ভ্যাক্সিন টিম গঠন করে ঘরে ঘরে গিয়ে এলাকায় যারা এখনো কোভিট ১৯ ভ্যাক্সিন নেন নাই তাদেরকে ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দিয়ে দিচ্ছেন।

এদিকে ইউএনওর এমন উদ্যোগে সচেতন মহল ইউএনওকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে তিনি পেকুয়ায় যোগদান করার পর থেকে অসহায় গরীবদের খোঁজ খবর নিয়ে ঘরে ঘরে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এমন এক সরকারী কর্মকর্তার কার্যক্রমে মুগ্ধ হয়েছেন সচেতনমহল।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, আমি চাই না পেকুয়ার মানুষরা যাতে কোভিট ১৯ ভ্যাক্সিন না দেওয়ার কারণে সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হোক। এজন্য সরকারী নিদের্শনা অনুযারী কেউ যাতে ভ্যাক্সিন ছাড়া না থাকে সেই লক্ষ্য এ আমি স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ভ্রাম্যমান ভ্যাক্সিন টিম গঠন করে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যারা এখনো ভ্যাক্সিন নে নাই তাদের কে ঘরে ঘরে গিয়ে ভ্যাক্সিন দিয়েছি। যেহেতু ২৬ ফেব্রুয়ারী শেষ হচ্ছে কোভিট ১৯ ভ্যাক্সিনের ১ম ডোজের মেয়াদ। এর পর থেকে ইচ্ছে করলেও মিলবে না এ প্রথম ডোজ।