আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রবিবার একদিকে যেমন বাংলাদেশে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। অন্যদিকে আবার সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতায় মানববন্ধনেও নেমেছে তাঁর দল। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ নিজে যার পুরোভাগে ছিলেন।
সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠিতে নওশাদ লিখেছেন, ‘উৎসবের মরসুমে বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটেছে তা কখনওই অভিপ্রেত নয়। হিংসা, মারামারি, পুজো মণ্ডপে কোরান শরিফকে রাখাকে কেন্দ্র করে যে ধরনের অশান্তি বাংলাদেশে ছড়াচ্ছে এগুলি আটকানো দরকার। মানুষের প্রাণ সংশয় হচ্ছে। আমরা আশা করছি, আপনি যথাযথ পদক্ষেপ করে সকলের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। দক্ষিণ এশিয়ায় একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, সামাজিক ও ধর্মীয় সংহতি থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ধর্ম নিয়ে নিজেদের মতো ভাবনাচিন্তা পোষণ করা অনেক সময় আতঙ্কের কারণ হয়ে ওঠে। সাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠে। এই কালপ্রিটদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধরে এনে শাস্তি দেওয়া দরকার।’
একই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়েও নওশাদ সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখেন, ‘দু’তরফেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হোক আইএসএফ তেমনটাই চায়। যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে শান্তি, অগ্রগতি ও সংহতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারে। সকলে যেন বৈদেশিক রীতিনীতিকেও যেন সর্বক্ষেত্রেই মান্যতা দেওয়া হয়। তাই এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যা চলছে, আপনার সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেই আশা রাখছি।’
এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন অফিসের সামনে মানব বন্ধন পালন করল আইএসএফ। দলীয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।