রামু প্রতিনিধি:
রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পশ্চিম মেরংলোয়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মাদ্রাসা ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। হাতের দুটি অংশে হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই ছাত্রকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত হাবিব উল্লাহ রামুর মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় রামু থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন আহত হাবিব উল্লাহর পিতা ওবাইদুল হক।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- গত বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে ওবাইদুল হকের ৩ শিশু সন্তান হাবিব উল্লাহ, আদনান ও সোহাগ তার চাচাতো ভাই মোস্তাক আহমদের ভিটায় ঘাস কাটার জন্য যান। এসময় মোক্তার আহমদের ছেলে মো. ইসমাইল শিশুদের তার বাগান থেকে ঘাস কেটে এনেছে, এমন অভিযোগ হাকাবকা শুরু করে। একপর্যায়ে মো. ইসমাইল ও তার ছেলে আশেক এবং একই এলাকার আবু শামার ছেলে মো. রায়হান লোহার রড নিয়ে হাবিব উল্লাহকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে মো. রায়হান হাতে থাকা কাচি দিয়ে হাবিব উল্লাহর আঙ্গুল কেটে দেয়। মো. ইসমাইল ও আশেক উপর্যুপরি রড দিয়ে আঘাত করার ফলে হাবিব উল্লাহ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করার পর হাবিব উল্লাহর হাতে দুটি অংশে হাড় ভাঙ্গা জখম ধরা পড়ে। এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারিরা মামলা না করার জন্য ওবাইদুল হককে নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে।
এদিকে হাবিব উল্লাহর পিতা ওবাইদুল হক এ ঘটনায় ৩জনকে অভিযুক্ত করে শুক্রবার রামু থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। তদন্তকারি কর্মকর্তা রামু থানার এএসআই এমিলন বড়–য়া শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
রামুতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মাদ্রাসা ছাত্র
