সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজারের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত ও টিয়ারফান্ডের আর্থিক সহায়তায় Assistance to support COVID 19 Response in Camps and Host Communities নামক প্রকল্প গত নভেম্বর ২০২১ হতে কক্সবাজার জেলার অন্তভর্‚ক্ত সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন ও রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নে মোট ৩০০ (তিনশত) পরিবারের আয় বৃদ্ধি ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। যেখানে খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ২নং ও ০৯ নং ওয়ার্ডে ২০০ টি পরিবার এবং এবং ঝিলংজা ইউনিয়নের ৫টি ওয়াডে ১০০ পরিবার রয়েছে। এছাড়া এই প্রকল্পের মাঝে ৫০ রোহিঙ্গা পরিবারকে শেল্টার এবং ৮০০ রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।
২৬ এপ্রিল ছয় মাস মেয়াদী এই প্রকল্পের “লার্নিং-শেয়ারিং ইভেন্ট ও ইফতার পার্টি” কক্সবাজারস্থ ”লং বীচ” হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কায়ছারুল হক জুয়েল।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী সচিব ও ক্যাম্প ১৭ এর ক্যাম্প ইন চার্জ এস.এম. ইশতিয়াক শাহরিয়ার।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্প ৯ এর ক্যাম্প ইন চার্জ মো: তানজীম, সহকারী ক্যাম্প ইন চার্জ হরিচরণ চৌধুরী, ক্যাম্প ১ ডব্লিউ এর ক্যাম্প ইন চার্জ এইচ এম খোদাদাত হোসেন, শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সহকারী সচিব আরিফ ফয়সাল খান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এনজিও সেলের সহকারী কমিশনার জনাব কাজী মাহমুদুর রহমান, টিয়ারফান্ডের প্রতিনিধি জুয়েল বৈরাগী, ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, খুনিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান জানে আলম।
এছাড়া বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, এনজিও প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন একর্ড প্রকল্পের ব্যবস্থাপক তাহারিমা আফরোজ টুম্পা।
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্প কার্যক্রম তুলে ধরেন হিউম্যানিটারিয়ান রেসপন্স প্রধান মোঃ শাহিনুর ইসলাম।
তিনি প্রকল্পের উপকারভোগীর তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্রশিক্ষন প্রদান, উপকরন বিতরন, অর্থ সহায়তা, ক্যাম্পে ড্রেন নির্মান, ঘর নির্মানসহ কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ও শিক্ষণ বিষয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক টিম লিডার ও সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, জন্মলগ্ন ১৯৯৮ সাল থেকে কোস্ট ফাউন্ডেশন অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। পরবর্তিতে ২০০১ সালে কক্সবাজারে কার্যক্রম শুরু করে।
তিনি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়কে তাদের সার্বিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
খুনিয়া পালং ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক নুরুল আমিন বলেন, কোস্ট ফাউন্ডেশনের সকল কাজ স্বচ্ছ এবং তারা প্রতিটি কাজে ইউনিয়ন পরিষদসহ সকলের পরামর্শ নিয়ে থাকে। ইতোপূর্বে তারা প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, হাইজিন কিট, কম্বল এবং নগদ অর্থ প্রদান করেছে। এমন প্রকল্প আমার এলাকার দরিদ্র মানুষের জন্য খুবই উপকারী বলে আমি মনে করি।
ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান কোস্ট ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রকল্পের সকল কাজ মানসম্মত ও যথাসময়ে হয়েছে বলে জানান। কিন্তু আগামীতে ঝিলংজা ইউনিয়নে উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ক্যাম্প ৯ এর ক্যাম্প ইন চার্জ মোঃ তানজীম বলেন, আপনাদের অন্যতম একটি ভালো দিক হলো রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি আপনারা হোস্ট কমিউনিটিকেও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আমাদের হোস্ট কমিউনিটি কিন্তু অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্থ, এই বিষয়টি আমাদের মনে রাখতে হবে। ক্যাম্প ০৯ এর মতো স্থানে রোহিঙ্গাদের জন্য ঘর নির্মানের জমির ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন কাজ, যা আপনারা পেরেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস.এম ইশতিয়াক শাহরিয়ার বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য কার্যকর উন্নয়নমুলক কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া তিনি সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক কাজের চেয়ে টেকসই উন্নয়নমুলক কাজের প্রতি আরো মনযোগী হওয়ার পরার্মশ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপত্বির বক্তব্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল বলেন, কোস্ট দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য তাদের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। আমি কোস্টকে অনুরোধ করব তারা যেন এই ধরনের আরো প্রকল্প হাতে নেয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।