ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
কক্সবাজার শহরের বড় বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্লাস্টিক ধরণের পাতলা প্রলেপ ও জেল (বিষ) মেশানো চিংড়ি মাছ।
মাছের দ্রুত পচন ঠেকাতে এবং ওজন বাড়াতে এমনটি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই কাজে জড়িত রয়েছে একটি সিন্ডিকেট।
শনিবার (৪ জুন) বিকেলে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন সহযোগী অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সহকারীর হাতে অভিনব জালিয়াতি ধরা পড়ে।
পরে অবশ্যই ওই মাছ ফেরত নিয়ে ছোট মাছ দেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিকিৎসকের সহকারি জানান, বড়বাজার থেকে চিকিৎসক স্যারের জন্য ২ কেজি বাগদা চিংড়ি কিনেন। বাসায় গিয়ে দেখেন, ভেজাল। প্লাস্টিক ও জেল (বিষ) মেশানো হয়েছে চিংড়িতে।
তাৎক্ষণিক বিক্রেতার নিকট অভিযোগ নিয়ে গেলে মাছগুলো ফেরত নেন এবং ওই টাকার বদলে ছোট মাছ দেন।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, পর্যটন শহরের ব্যবসায়ীরা যদি এমন জালিয়াতি করে, মেনে নেওয়া যায়?
এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সচেতন মহল।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছৈয়দ আকবর সিবিএনকে বলেন, আব্দুল খালেক নামক একজন ব্যক্তি মাছগুলো বিক্রি করেছে। তার বাড়ি কক্সবাজার শহরের বাদশা ঘোনা। অভিযোগ পাওয়ার পর তার মাছ বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এমন প্রতারণামূলক ব্যবসা যারা করছে তাদের বাজারে মাছ বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাহিদ ইকবাল সিবিএনকে বলেন, এমন কাজটি যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি সূত্র মারফত জানা গেছে, প্লাস্টিক ও জেল (বিষ) মিশ্রিত চিংড়ি মাছগুলো সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজারে আনছে অসাধু একটি চক্র।
সাগরে মাছধরা নিষিদ্ধের মৌসুমে সংকটের সুযোগে জালিয়াতির পথ অবলম্বন করে অতি মুনাফালোভী  ব্যবসায়ীরা।
একটি সিন্ডিকেট ফিশারিঘাট ও শহরের বড়বাজার কেন্দ্রিক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চায় ভোক্তারা।