পেকুয়া সংবাদদাতা:
পেকুয়ায় কহলখালি খাল জবরদখল করে পাকা স্থাপনা নিমার্ণ কাজ বন্ধ করে দিলেন উপজেলা প্রশাসন।
৫ জুন (রবিবার) বেলা ১২ টায় পেকুয়া চৌমুহুনীর পশ্চিম পার্শ্বে বানৌজা শেখ হাসিনা মহাসড়কের সাথে লাগোয়া পানি নিস্কাষনের খাল এলাকায় এ জবরদখলের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের নাকের ঢগায় চৌমুহুনী স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে কহল খালিখাল জবরদখল করে পাকা স্থাপনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র সার্ভেয়ার শওকত। সে ওইদিন সকাল ৭ টায় প্রকাশ্যে খালের জায়গায় পাকা ওই কতিপয় ব্যক্তি শ্রমিক নিয়োগ করে খাল দখল করে কাজ চালিয়ে গেলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা অবগত হলে তিনি সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার কাজল কান্তি ও পেকুয়া থানা পুলিশের সহায়তায় এ নিমার্ণ কাজ বন্ধ করে দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পেকুয়া চৌমুহুনীর সামান্য পশ্চিম পার্শ্বে বানৌজা শেখ হাসিনা মহাসড়কের সাথে লাগোয়া পানি নিস্কাষনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ কহলখালী খাল জবর দখল করেই স্থাপনা তৈরীর দৃশ্য।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ জায়গাটি সদর ইউনিয়নের মিয়া পাড়ার বাসিন্দা মৃত আবু ছিদ্দিকের মেয়ে মহিলাদলের নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ঝিনুর কাছ থেকে সার্ভেয়ার শওকত কিনে নিয়েছেন। সার্ভেয়ার শওকত কিনে এ নিমার্ণ কাজ শুরু করছেন।
এদিকে স্থানীয়রা আরো জানিয়েছেন, দূষণ ও জবর দখলের কবলে কহলখালী খালটি প্রায় মৃত। ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রবাহমান ওই খালটি এখন প্রায় মৃত অবস্থায়। ময়লা আবর্জনার স্তুপে ওই খালের গতি থেমে গেছে। মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকার মধ্যে কহলখালী খালের এখন অস্থিত্ব বিপন্নের দিকে। কহলখালী খালের অবস্থা খুবই শোচনীয়। গত কয়েক বছর ধরে প্রবাহমান ওই খালে ফেলছে ময়লা আবর্জনা। নর্দমার স্তুপে কহলখালী খালের গভীরতা হ্রাস পেয়েছে। সদর ইউনিয়নে প্রধান ব্যস্ততম স্থান চৌমুহনী ও এর আশে পাশে কহলখালী খালটি দখলের কবলে পড়ে এখন মরাখালে পরিনত হয়েছে।
সূত্রে আরো জানান, বিগত ৫০ বছর আগে পেকুয়া সদর ইউনিয়নে কহলখালী খাল খনন করা হয়েছিল। সিকদারপাড়া দক্ষিণ অংশ থেকে ওই খালটি বহমান। উত্তর দিকে এবিসি সড়কের লাগোয়া উপজেলা পরিষদ ভবনের পূর্ব পাশ দিয়ে ঘেষা খালটি উত্তর দিকে থানা ভবন পর্যন্ত এসেছে। পেকুয়া পুরাতন জমিদার বাড়ির দক্ষিণ ও পশ্চিম কোণা হয়ে খালটি সোজা পশ্চিম দিকে বহমান। সেখান থেকে উত্তর দিকে মিয়াপাড়া, শেখেরকিল্লাঘোনা পর্যন্ত গিয়ে পরিসমাপ্তি হয়। মিয়াপাড়ার এনজিও কর্মী তাফসীরের বাড়ির দক্ষিণ অংশ দিয়ে সোজা পশ্চিম দিকে চলে যায়। সুশীলপাড়া ও বিশ্বাসপাড়া হয়ে পেকুয়া বাজারের পশ্চিম প্রান্তে পাউবোর পুরাতন ভবন পর্যন্ত ওই খালের অস্তিত্ব। এর স্রোতধারা মিলিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরের শাখা নদী ভোলাখালে। পেকুয়া বাজারের পশ্চিম প্রান্তে পাউবোর একটি স্লুইচ গেইট রয়েছে। জোয়ার ভাটার ভোলা খালের সাথে কহলখালী খালের সংযোগস্থল ওই স্লুইচ গেইট দিয়ে মিশে গেছে। এ দিকে প্রায় ৩ কিলোমিটার বিস্তৃত কহলখালী খালের অবস্থা খুবই নাজুক।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার কাজল কান্তি বলেন এটি সরকারী জায়গা। জবরদখলরোধে ইউএনও ম্যামের নিদের্শে কাজ বন্ধ করার নিদের্শ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন তহসিলদার কে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।