জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের হালিশহরে ক্যাসিনো ও জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সরঞ্জাম নগদ টাকা সহ ৫৩ জনকে আটক করেছে র্যাব-৭।
গতকাল শনিবার (১১জুন) রাতে হালিশহর থানাধীন পোর্ট কানেকটিং রোডস্থ নবাব টাওয়ারের ৩ তলায় রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির অফিসে এ অভিযান চালায়।
আটককৃতরা হলেন, মোঃ ফেরদৌস আলম (৫৭), মোঃ দিদারুল আলম (৫০), মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪১),মোঃ শাহাবুদ্দিন (৬২), মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৬৬), মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪০),মোঃ আলা উদ্দিন (৫০), মোঃ শহিদ উল্লাহ (৪৭), মোঃ জাকির হোসেন (৫৩), মোঃ তাওহিদুল মাওলা (৫১), গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ (৫৯), মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫২), মোঃ আব্দুস সালাম (৭২), মোঃ জাকির হোসেন (৬৪),মোসাদ্দেক (৫৮), সুধীর দাস (৭২), নোমান (৪৮), কাজী মোঃ জাকারিয়া (৫৬), মোঃ নজরুল ইসলাম (৫৮), মোঃ সাইফুল আজম (৪২),মোঃ ফজলুল করিম (৫৪), মাহফুজজুর রহমান (৪৫), মোঃ হেলাল উদ্দিন (৬০), মোঃ বাবু (২৭), মোঃ শামসুল ইসলাম (৫৩), উৎপল চৌধুরী (৪৬), রবি শংকর (৪৩), মোঃ জসিম (৩৭), মোঃ সোহরাফ হোসেন (৪২), কাজী মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে নওশাদ (৫২), মহিউদুল্লা @ কাজল (৫৭), মোঃ আরিফুল ইসলাম (৪২), মোঃ ওহিদুর রহমান (৬৩), মোঃ আমিরুল ইসলাম (৬২), গোলাম রসুল (৬২),৩৬। আব্দুর রশিদ (৪৭), মোঃ নুরুল ইসলাম (৬৪), মাহবুব নবী চৌধুরী (৫৭), মোঃ ফরিদ (৪২), আব্দুর শুক্কুর (৫৫), মোঃ আবুল হাসান (৩২), মোঃ শহীদুল ইসলাম সাগর (২৪), মোঃ সুমন চৌধুরী (৩৫), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫০), মোঃ ওমর ফারুক (৫২), মোঃ সোহাগ (১৯), মোঃ জসীম (২৩), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫৭), মোঃ রফিকুল হাসান (৩৯), আশীষ গুহ (৫৫), মোঃ রেজাউল মাওলা (৪২), মোঃ মনির আহম্মদ চৌধুরী (৬৫), এবং মোঃ মঞ্জুর আলম (৫৮)।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিরেনার আসর বসিয়ে আসছিল।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় র্যাব গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলারত অবস্থায় ৫৩ জনকে আটক করে। তাদের হেফাজতে থাকা বিভিন্ন রুম হতে এলোমেলো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় তাস ১৫৫ সেট, জুয়া খেলার চিপ ৪৩০টি (বিভিন্ন রংয়ের) এবং নগদ ৩ লক্ষ ৬৯হাজার ৯৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে এই ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা হয়ে আসছিল। তারা বেট করতে প্লাষ্টিকের চিপ ব্যবহার করত। তাদের ম্যানেজারের কাছ থেকে অর্থপ্রদান বা ঋণের মাধ্যমে সেই চিপ কিনতে হতো। এই চিপের দাম ৫০০০ টাকা থেকে পরিবর্তিত হয়ে সর্বোচ্চ মূল্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতো। এলাকার যুবসমাজ এই অবৈধ অর্থের প্রলোভনে পড়ে এই ক্যাসিনো ও জুয়া খেলায় জড়িয়ে যেত এবং অনেকে সর্বস্ব হারাতো।
আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে।