হ্যাপী করিম, মহেশখালী :
মহেশখালীতে প্রান্তিক লবন চাষীদের লবণ উৎপাদনে লবণ চাষী ও উদ্দোক্তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুন) দুুুুপুরে মহেশখালী উপজেলা সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার লবন শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় বিসিক এর আয়োজনে লবন উৎপাদনে চাষীদের প্রশিক্ষণ ও ঋন প্রদান করা হয়েছে।
এতে লবন শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় বিসিক কর্মকর্তা ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন এর সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন বিসিক কক্সবাজার উপ মহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূইয়া, কক্সবাজার লবন শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় (বিসিক) সহকারী নিয়ন্ত্রক ছৈয়দ মোস্তাকিম হোসেন, লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় বিসিক কক্সবাজারস্থ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশিষ্ট লবণ গবেষক মঞ্জুর আলম, বাংলাদেশ লবন চাষী বাঁচাও পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মহেশখালী উপজেলা আহবায়ক আলহাজ্ব সাজেদুল করিম।
প্রশিক্ষনে লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় বিসিক কক্সবাজারের উপ মহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূইয়া লবণ চাষীদের দানাদার পরিপক্ষ লবণ উৎপাদন বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন.. এসময় তিনি বলেন, বিসিক কর্তৃক উদ্ভাবিত পলিথিন পদ্ধতির লবণ উৎপাদন করতে হলে বিসিক লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রদর্শিত পদ্ধতিতে দানাদার ও পরিপক্ষ লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। তাহলে লবণের গুনগতমান উন্নয়নের মাধ্যমে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। পেষ্টুন ও ব্যানার মাধ্যমে পলিথিন পদ্ধতির লবণ চাষ বিষয়ে চাষীদের সাথে ব্যাপক আলোচনা করেন। কাজেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিসিকের পরামর্শক্রমে বিসিক উদ্ভাবিত পলিথিন পদ্ধতিতে মানসম্মত দানাদার ও পরিপক্ষ লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের লবণ চাহিদা পুরণ করে লবণ আমদানী বন্ধ করার জন্য লবণ চাষী ও উদ্যোক্তাদের তিনি আহ্বান জানান।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, আবহাওয়া লবণ উৎপাদনের অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্র অর্জন সম্ভব। কালো লবণ উৎপাদনে লবণ মাঠ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। লবণের সাথে মিশ্রিত কাদা দ্বারা মিল এলাকার নদ নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যা পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। বিগত মৌসুমে লবণ উৎপাদনে তুলনায় অধিক লক্ষ্যমাত্রার উৎপাদনে ন্যায্য মূল্যে ও উৎপাদনে চাষীদের আহবান করেন।
প্রশিক্ষণে প্রায় ৭৫ জনের অধিক লবণ চাষী অংশ নেন, এতে ১১ জন লবন চাষীকে ৫০ হাজার টাকা করে ঋন প্রদান করা হয়েছে। এসময় লবন চাষী ও ব্যবসায়ী উদ্দোক্তা’সহ মহেশখালী লবণ কেন্দ্র কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।