দেলওয়ার হোসাইন, পেকুয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছদ্মনাম আক্তার বেগম (১৬) নামের এক এস এস সি পরীক্ষার্থীকে ধষর্ণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার (৩ জুলাই) রাত ১১ টায় উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ঘোষাল পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার নজির আহমেদের মেয়ে ও উজানটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এস এস সি পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে শহিদুল ইসলাম সহ ২ জনকে বিবাদী করে পেকুয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ছদ্মনাম (আক্তার বেগম) তার ছোট চাচা কাদের হোছনের বসতঘরে থেকে লেখাপড়া করে। তার চাচা কাদের হোছন ও চাচাত ভাই তৌহিদুল ইসলাম তাদের চিংড়ি ঘেরে মাছ পাহারা দিতে যায়। চাচা কাদের হোছন ও চাচাত ভাই তৌহিদুল ইসলাম তাদের ঘরে প্রবেশের সুবিধায় দরজার খিল আলগা রাখা হয়। (আক্তার বেগম) পাশ্ববর্তী একটি কক্ষে ঘুমায় তার চাচী বারান্দায় বিছানা করে ঘুমিয়ে পড়ে। ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘটনার দিন রাতে উজানটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম উজানটিয়া নতুনপাড়া এলাকার নেজাম উদ্দিনের পুত্র শহিদুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের ঘোষালপাড়া এলাকার নেজাম উদ্দিনের পুত্র আবু নয়ন প্রকাশ ছুনিয়া তারা বসতঘরের দরজা খুলে আক্তার বেগমের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে। শহিদুল ইসলাম আক্তার বেগমকে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ চাপিয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শহিদুল ইসলাম আক্তার বেগমের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে নির্যাতন করে। তাদের অবৈধ ইচ্ছে পূরণ করতে না দেওয়ায় আক্তার বেগমকে কামড় দিয়ে জখম করে। এসময় আবু নয়ন আক্তার বেগমের পায়জামা টানা হেঁচড়া করে খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এদিকে চাচাত ভাই তৌহিদুল ইসলাম মৎস্য প্রজেক্ট থেকে আসলে মোবাইল ফোনের ফ্লাশ লাইটে আক্তার বেগমকে তারা নির্যাতন করতে দেখতে পেলে ঘটনার বিষয় কাউকে প্রকাশ না করতে হুমকি প্রদান করে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এদিকে বাদী নজির আহমেদ জানান, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা থানায় অভিযোগ দিয়েছি ।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ ফরহাদ আলী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।