আবুল কালাম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছয় হাজারের ও বেশি বন্দিদের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও উন্নত মানের রান্না করা গরু-খাসির মাংস ও পোলাও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কারা কতৃপক্ষ।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, বাড়িতে রান্না করা খাবার দিতে পারবেন না স্বজনরা। কারাগারেই তাদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা এবং খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে।
নামাজের পর ঈদের দিন সকালে প্রত্যেক বন্দিকে সেমাই-মুড়ি দেওয়া হবে। দুপুরে পোলাও, খাসি, গরু, কোমল পানীয়, সালাদ ও পান-সুপারি দেওয়া হবে।
মুসলমান বন্দিদের জন্য গরু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের খাসির মাংস দেওয়া হবে। রাতে দেওয়া হবে সাদা ভাত, ডাল, রুই মাছ।
জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কারাগারে ২৪টি ওয়ার্ডকে কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ড হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং নতুন বন্দিদের হাত ধোয়া সহ ১৪দিন কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ডে রেখে তারপর সাধারণ ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ১৫ দিন পর পর নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন বন্দিরা। কোন বন্দি চাইলে কারাগারে থাকা সরকারি ফোনে স্বজনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকের সামনে স্বজনরা বন্দির সঙ্গে দেখা করতে ভিড় করছেন। কেউ আসছেন ঈদের নতুন কাপড় নিয়ে, কেউ পছন্দের খাবার নিয়ে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন বলেন, এবার ঈদুল আজহায় বিশেষ ক্ষমায় কেউ মুক্তি পাননি। তবে কারাগার থেকে জামিন নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ২০০ জন এবং শুক্রবার (৮ জুলাই) ৩৫৮ জন বন্দি মুক্তি পেয়েছেন
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।