হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
টেকনাফের সাবরাং ও শাহপরীরদ্বীপ সাংগঠনিক ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটিতে কেন্দ্রের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল পদসহ সদস্য পদে রোহিঙ্গা, হাইব্রীড, নবাগত, চিহ্নিত বিএনপি ও বিদ্রোহীদের অর্ন্তভুক্ত করার পাঁয়তারা চলছে। এ নিয়ে তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তালিকা যাচাই ও তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নিয়ে তৃণমুল নেতাকর্মীরা জেলার সাংগঠনিক টিমের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।
এলাকার তৃণমুল নেতাকর্মীরা জানান, টেকনাফের ঐতিহাসিক জনপদ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের অনেক ত্যাগী, নির্যাতিত ও পোড় খাওয়া নেতা-কর্মী রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুন কমিটি হচ্ছে।
কিন্ত নতুন কমিটিতে অনেক ত্যাগী, নির্যাতিত ও পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীদের স্থান হচ্ছেনা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হামলা ও মামলার শিকার ত্যাগী, নির্যাতিত ও পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ড জালিয়াপাড়ায় আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল পদসহ সদস্য পদে চিহ্নিত বিএনপি প্রয়াত এজাহার মেম্বারের পরিবার এবং রোহিঙ্গা,
হাইব্রীড, নবাগত, চিহ্নিত বিএনপি ও বিদ্রোহীদের অর্ন্তভুক্ত করার পাঁয়তারা চলছে। মিস্ত্রীপাড়া ও বাজারপাড়ার কমিটিতেও অনেক ত্যাগী,
নির্যাতিত ও পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীদের স্থান হচ্ছেনা। হাইব্রীড, নবাগত, চিহ্নিত বিএনপি ও বিদ্রোহীদের বাদ দেয়ার জন্য কেন্দ্রের নির্দেশ থাকলেওতা মানা হচ্ছেনা।
সাবরাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন ফরিদ আহমদ, মো. ছিদ্দিক, জাফর আহমদ ও কবির আহমদ মেম্বার। এরমধ্যে ফরিদ আহমদ ছাড়া অপর তিনজন বিগত ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ¦ সোনা আলীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছেন। এমনকি নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস
ভাংচুরকারীও পদবী লাভে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সাধারণ সম্পাদক পদেও একই অবস্থা। বর্তমানে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা কমিটির মুল গুরুত্বপুর্ণ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়ে নিতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা রয়েছে বিদ্রোহী ও কর্মী-সমর্থকরা দলে থাকতে পারবে কিন্ত কমিটির মুল গুরুত্বপুর্ণ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে পারবেনা। কেন্দ্রের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কমিটির মুল পদে তদবীর করায় এ নিয়ে সংঘাতের আশংকাও রয়েছে। এলাকার তৃণমুল নেতাকর্মীরা এ ব্যাপারে তদন্ত ও তালিকা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে উখিয়া-টেকনাফের সাংগঠনিক টিম তথা শাহ আলম চৌধুরী, আলহাজ¦ এইচএম ইউনুচ বাঙ্গালী, আলহাজ¦ আবদুর রহমান বদি সিআইপি, মাস্টার জাহেদ হোসেন ও আলহাজ¦ নুরুল বশরের সুদৃষ্টি কামনায় জোর
দাবী জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপে আওয়ামীলীগের নতুন কমিটিতে কয়েকজন রোহিঙ্গাকে অর্ন্তভুক্তির অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আমি দায়িত্বশীলদের অবহিত
করেছি’।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাস্টার জাহেদ হোসেন বলেন, ‘আমার জানা মতে আওয়ামীলীগের নতুন কমিটিতে রোহিঙ্গা নেই। বিএনপি আছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। তবুও তালিকা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।