জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আযহা’র ছুটি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু অধিকাংশ হলের ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা খাবার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে।
জানা যায়, এ বছর পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ৮ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ছিল।আজ ১৭ জুলাই রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল এবং একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন , সূর্য সেন হলের ক্যাফেটেরিয়া সহ বিভিন্ন হলের খাবারের দোকান বন্ধ থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।আজ
দুপুর সাড়ে বারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ক্যান্টিনের সামনে গিয়ে দেখা যায়,ক্যান্টিনের দরজায় তালা ঝুঁলছে। হলের আবাসিক ছাত্ররা খাবার খেতে এসে খাবার না পেয়ে কিছুটা হতাশ হয়ে ফিরে গেছে।
এই বিষয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ডঃ মোঃ মাসুদুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য হল অফিসে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ক্যান্টিনের মতো সূর্য সেন হলের ক্যাফেটেরিয়াও বন্ধ দেখা যায়।
ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া এবং টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া খোলা থাকলেও নাস্তা ও খাবারের পরিমাণ ছিল কম।ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা খাবার এবং নাস্তা না পেয়ে কিছুটা হতাশ হয়ে ফিরে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের ১৩ টি হলের মধ্যে স্যার এ. এফ. রহমান হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল সহ ৭টি হলের ক্যান্টিন এবং মেয়েদের ৫ টি হলের ক্যান্টিনের মধ্যে ৩টি হলের ক্যান্টিন এখনো খোলা হয় নি।ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা খাবার নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে। শুধু ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া নয়, বিভিন্ন হলের লন্ড্রির দোকান ফটোকপি মেশিনের দোকান বন্ধ থাকায় বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্র মোবারক হোসেন জানান , “হলের ক্যান্টিনে খাবার খেতে এসেছিলাম। এখানে খাবার না পেয়ে হোটেলে গিয়ে খেয়ে এসেছি”।