আমিনুল ইসলাম বাহার, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৩য় পর্যায়ে মুজিব শতবর্ষের ঘর পাবে আরও ৩১ পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।
বুধবার পেকুয়া উপজেলা কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে ৯টি, শিলখালী ১৭টি, ও টৈটং ইউনিয়িনের ৫টি গৃহহীন পরিবার ৩য় পর্যায়ে মুজিব শতবর্ষের ঘর পাবেন। তাছাড়া এ পর্যায়ে ২৭টি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এগুলোর জন্য সাইট সিলেকশন, মাটি ভরাট ও পর্যাপ্ত খাস জমির দখল পুনরুদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। বরাবরের মতোই সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবার সেমি পাকা ঘরের পাশাপাশি ২ শতাংশ ভূমির মালিকানার স্বপক্ষে একটি কবুলিয়ত দলিল, নামজারি খতিয়ান ও হালসনের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ পাবে।
এদিকে ছিন্নমূল ও গৃহহীন মানুষ ঘর পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। মগনামা সোনালী বাজার এলাকায় মুজিব বর্ষের ঘর পেয়ে আবেগী হয়ে পড়েন জেলে আবুল কালাম। তিনি বলেন, তিন মেয়ে ও এক ছেলে ও স্ত্রীসহ ৬ জনের সংসার আমার। কাকপাড়ায় ছোট্ট একটা ঝুপড়ি ঘরে থাকতাম। ওখান থেকে আমাদের উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় বছর খানেক আগে। কখনো স্বপ্নে দেখিনি পাকা ঘরে থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃতজ্ঞতা জানাই।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, ৩য় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পেকুয়ার ৩১ গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি ও জমির কাগজপত্র হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ঘরগুলোর উদ্বোধন করবেন। প্রতিবার মুজিব শতবর্ষের ঘর উদ্বোধনের সময় সুবিধাভোগীদের আমার পক্ষ থেকে একটা কিছু উপহার দিয়ে থাকি। এবার আমি তাঁদেরকে ফলজ ও বনজ গাছের চারা উপহার দিব।
১ম ও ২য় পর্যায়ে পেকুয়ায় মোট ১০০টি গৃহহীন পরিবার মুজিব শত বর্ষের ঘর পেয়েছে। এর মধ্যে মগনামায় ৩১টি, বারবাকিয়া ১টি, শিলখালী ১৮টি, টৈটং ২৯ টি, উজানটিয়ায় ৪টি ও রাজাখালীতে ১৭টি ভূমিহীন পরিবার এ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিলো।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।