এম.মনছুর আলম,চকরিয়া :
‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সপ্তাহ ব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: ফারহান তাজিম বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদের অবদান ও মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটাতে সরকার বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন এবং জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি উন্নত ও দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তবে এ পদ্ধতি অবলম্বন করে অল্প পুঁজিতে মাছ চাষ করে বেকারত্ব দূরীকরণে সহায়ক হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চকরিয়ার উপকূলীয় এলাকায় ৭ হাজার একর চিংড়ি ঘের রয়েছে। এসব ঘেরে বাগদা-চিংড়ির পরিবর্তে চাষ করা যায় এমন নতুন এক প্রজাতির চিংড়ি মাছ ‘ভেনামি’ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে। এটি সফল হলে অধিক উৎপাদনশীল এই চিংড়ি মাছ চাষে বৈদেশিক মুদ্রার পাশাপাশি চাষিরা লাভবান হবে। মৎস্যচাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বেকারদের কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে বাগদা ও গলদা চিংড়ি দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। অর্থনৈতিক ভাবে জাতীয় অগ্রগতিতে মৎস্য খাতের ভুমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মেরিন ফিসারিজ অফিসার এ জেড এম মোছাদ্দেকুল ইসলাম ও ফিল্ড অফিসার মো. সায়েফ উল্লাহ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।