পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপি নির্বাচন
এম.মনছুর আলম,চকরিয়া :
আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা’কে দেখতে চাই এলাকাবাসী ও দলের তৃণমূলের কর্মীরা।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপসিল মোতাবেক তৃতীয় ধাপে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন। তবে, ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীতা বাচাইয়ে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের কাছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী,ইউপি নির্বাচনে যোগ্য, পরীক্ষিত, ত্যাগী ও পারিবারিক ঐতিহ্য দেখে এবং সুনামের অধিকারীদের প্রার্থীতা মূল্যায়ন করে বঙ্গবন্ধুর নৌকা প্রতীকটি সঠিক নেতৃত্বের হাতে তুলে দেয়ার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
সরেজমিনে জানাগেছে, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তৃতীয় ধাপে চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপি নির্বাচনে এবারও নৌকার মাঝি হিসেবে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা’কে উপযুক্ত বলে দাবী করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও এলাকাবাসীও ক্লীন ইমেজের এবং দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে তাকে মূল্যায়ন করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের কাছে দাবি জানান। মাঠ পর্যায়ে তার গ্রহণ যোগ্যতা যাচাই করে দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলা’কে মূল্যায়ন করতে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানায় দলীয় নেতাকর্মীরা।
উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ইলিশিয়া জমিদার বাড়ির এই কৃতি সন্তান জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তৃণমূলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ঐতিহ্যগত এবং পারিবারিক ভাবে বাবা ও দাদার দেখানো পথ অনুসরণ করে রাজনীতির মাঠে এবং মানুষের সেবায় জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দরিদ্র, গরিব-দুঃখী, অসহায় ও সমস্যায় পড়ে থাকা মানুষের উপকার করে আসছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বুকে ধারণ করে রাজনীতির মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ ইউনিয়নে কোনো মানুষ বিপদে পড়লেই সবার আগে ছুটে যাওয়া মানুষটি তিনিই। প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের পাশে থাকায় সিরাজুল ইসলাম বাবলা এখন সবার ভরসার মানুষ। ইউনিয়নের মানুষের চাওয়া তাকে এবারও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। তাকে নৌকা প্রতীকে আবারও মনোনয়ন দেয়া হলেই বিগত সময়ের মতো এলাকার উন্নয়ন হবে এবং একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়ন রূপান্তরিত হবে বলে জানায় এলাকাবাসী।
রাজনৈতিক ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা উপজেলার ডেমুশিয়া-পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের অভিভক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তার সততা, নিষ্টা ও কর্মদক্ষতা এবং জনগণের কল্যাণকর কাজের জন্য তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিগত ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যবদি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বরত রয়েছেন। তার পিতা খাইরুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আলীকদম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার দাদা মরহুম আলহাজ্ব মোকতার আহমদ চৌধুরী ছিলেন
চকরিয়া থানা কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক প্রেসিডেন্ট চিরিঙ্গা ইউনিয়ন বোর্ড। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর দাদার পিতা মরহুম আলহাজ্ব খান সাহেব মকবুল আলী চৌধুরী ছিলেন ব্রিটিশ আমলের জমিদার। তিনি মকবুলাবাদ ডাকঘর, ইলিশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়, সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন জনপদে ৮৪ টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা ১৯৮৬ সালে অভিভক্ত চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০১৩ সালে মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক,পরবর্তীতে সম্মেলনে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক ছাড়াও তিনি বর্তমানে সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার দাতা সদস্য, ইলিশিয়া সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, ঢেমুশিয়া ছয়কুড়িটিক্কা পাড়া এতিমখানা ও হেফজখানার প্রতিষ্টাতা ও সভাপতি।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জানায়, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার কর্মদক্ষতা ও তৃণমূলে নেতাকর্মীর পাশে থাকার জন্য দল অনেক শক্তিশালী হয়েছে। এছাড়াও তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের দুরগোড়ায় শতভাগ সেবা নিশ্চিত করায়
মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নসহ ও মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে।
ইউনিয়নের দরবেশকাটা বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম রিয়াসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলাকে নৌকা প্রতীকে মনোয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। কারণ তিনি এলাকায় ক্লিন ইমেজ হিসেবে সবার কাছে জনপ্রিয়। তিনি চেয়ারম্যান হলে এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, তিনি গরিব থেকে বড় লোক পর্যন্ত সকলের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তারপর সাধ্যমতো তিনি সমাধানের জন্য চেষ্টা করেন। বর্তমানে তিনিই চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য প্রার্থী। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে ইউনিয়নবাসী অনেক উপকৃত হবে। আমরা তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি আমার বাবা সারাজীবন নিবেদিত ছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলকে সময় দিয়েছেন। কঠিন সময়েও তিনি দলের সিদ্ধান্ত এবং ভালো লাগা থেকে এক চুলও সরেননি। এটা জেলা ও উপজেলার সর্বস্তরের রাজনৈতিক এবং সাধারণ মানুষ অবগত। বাবার কাছ থেকে সরাসরি রাজনীতি শিখেছি।
তিনি আরও বলেন, দলের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষ চাই আমাকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য এবং দলের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দল আমাকে পারিবারিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম বিবেচনা করে যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমার সিদ্ধান্ত। ইনশাআল্লাহ বাবা ও দাদার দেখানো পথ মতো শেষ দম থাকা পর্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের জন্য কাজ করে যাবো এবং তাদের দেখানো পথেই চলবো।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।