চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
আমাদের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল দুই অঞ্চলেই কোস্টগার্ড শুধু সমুদ্রবন্দর নয়, তারা সব ধরনের নিরাপত্তার জন্য সব কিছু করছে। কোস্টগার্ড মানব ও মাদক পাচার রোধেও সফল ভূমিকা রাখছে। যার জন্য আমরা মনে করি কোস্টগার্ড দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছিলো। আমাদের এত বড় বন্দর সেখানে সেই সময় জাহাজ আসতে নানান ধরনের প্রশ্ন তুলতো। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই।
শুক্রবার ( ৫ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সমুদ্র মহড়া পরিদর্শন করে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কোস্টগার্ডের জাহাজ তাজউদ্দিনে উপস্থিত থেকে তিনি এ মহড়া পরিদর্শন করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোস্টগার্ডের অবস্থা ঠুঁটো জগন্নাথের মতো ছিলো। একটি জাহাজ দিয়ে শুরু হয়েছিল কোস্টগার্ডের যাত্রা। কোস্টগার্ডকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় শক্তিশালী করেছি, সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি, জনবল বৃদ্ধি করেছি। এ ছাড়া কোস্টগার্ডকে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। আমরা বলতে পারি কোস্টগার্ড সক্ষমতায় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে।
এই মহড়ায় কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহের স্টিম পোস্ট, ভিবিএসএস এক্সারসাইজ, ২০ মিটার রেসকিউ বোট, মেটাল শার্ক এবং জাহাজ কামরুজ্জামান দ্বারা পলিউশন কন্ট্রোল এক্সারসাইজ, ডিসপারসেন্ট ডেলিভারি ও ওয়াটার গান অপারেশন প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।