বিভিন্ন সংবাদপত্রে অপপ্রচারের জবাব দিলেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতা এইচএম শওকত। গত রোববার তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। এতে তার বিরুদ্ধে করা সকল অপপ্রচারের নিন্দা ও ব্যাখ্যা জানানো হয়।
ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেন,২০১৮ সালে আমি পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন দেশের একমাত্র সাবমেরিন নৌঘাঁটি বিএনএস শেখ হাসিনায় চাইনিজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোম্পানি পলি টেকনোলজিস ইনক এর লোকাল এজেন্ট নিয়োগ পাই। এরপর প্রায় মাস ছয়েক পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার এবং আমার সমবয়সী কয়েকজন তরুণ সাপ্লায়ার প্রজেক্টে কাজ শুরু করে। তারা আজ অবদি প্রজেক্টে নানান কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। তাদের অধিকাংশ চট্টগ্রাম বিভাগের বাহিরের মানুষ। তারা এই প্রজেক্ট একেকজন কমপক্ষে আনুমানিক ৫ থেকে ৮ কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। শূন্য হাতে প্রজেক্টে এসে তারা এত টাকার মালিক কিভাবে হয়েছে তা পেকুয়া তথা কক্সবাজারবাসীর কারো মাথা ব্যথা নেই এবং অনেকে তা জানেনও না।
সাড়ে দশ হাজার কোটি টাকার এই প্রজেক্টে আমি কেবল সামান্য বালুকণা! আমি এই প্রজেক্টে দিনেদিনে কোটি টাকা ইনকাম করিনি! রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজকের এই পর্যায়ে এসেছি। আজকে প্রায় চারবছর ঘাম ঝরানো খাটুনি করে নিজের অবস্থার পরিবর্তন করেছি। তবে আমার দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আমি বঙ্গবন্ধু আদর্শের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি ! আমার জন্ম এই পেকুয়াতে হয়েছে ! আমার বৈধ সম্পত্তির জোরপূর্বক দখল করে যারা পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করে ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছি !
আজ আমি যদি ঢাকা, চিটাগাং, বরিশাল থেকে এসে ব্যবসা করে হাজার কোটি টাকা এই পেকুয়া থেকে নিয়ে যেতাম তাহলে কারো কোন কথা শুনতে হতো না। শুনতো হতো না নিজের নামে এতো মিথ্যা অপবাদ! আজ মাদক ব্যবসা, প্রতারক, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ বড় বড় তকমা নিজের গায়ে এসে পড়তেছে। কারণ আমি কষ্ট করে আজ স্বাবলম্বী হয়েছি। আমি আজ পেকুয়ার কয়েকশো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে সুনাম অর্জন করেছি। অসহায় মানুষের পাশে স্বেচ্ছায় দাঁড়িয়েছি। তা হয়তো তাদের সহ্য হচ্ছে না।
আমি ছাত্রলীগের পদবি পেয়েছি ২০২০ সালের নভেম্বরে। অথচ আমি পলি টেকনোলজিস ইনক এর লোকাল এজেন্ট নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছি ২০১৮ সালে। শুরুর দিকে আমি চায়নিজের খাদ্য সাপ্লাই ও যাতায়াত ট্রান্সপোর্ট এবং আবাসন বিষয়ে কাজ করলেও পরবর্তীতে জনবল সরবরাহ এবং পেকুয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এসডি সেন্টারের মালিক সরওয়ার এবং সাবেক আমেরিকান প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের সহযোগিতায় ডিজেল ইট, কংকর, বালি সাপ্লাই দিয়ে এসেছি। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন নামকরা কোম্পানি থেকে ভাড়ায় ভারী ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করেছি। কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট বিষয়ে আমার তেমন অভিজ্ঞতা না থাকলেও চায়নিজ ইঞ্জিনিয়ার সহযোগিতায় বালি ভরাট, ইকুইপমেন্ট সাপ্লাই এবং জনবল সরবরাহ থেকে দ্রুত বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন মেটেরিয়াল সাপ্লাই কাজ নিজের আয়ত্ত্বে নিয়ে আসি। আমি স্থানীয় ছেলে এবং কঠোর পরিশ্রম দেখে চায়নিজ কোম্পানিও আমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে একের পর এক সাপ্লাই অর্ডার আমাকে দিয়েছে। তারা আমাকে কম সময়ের মধ্যে বিল প্রদান করে আর্থিক সহযোগিতা করেছে। আমার কোন কাজে আজ পর্যন্ত কোন প্রকার দুই নাম্বারি এবং ভেজাল কাজ চায়নিজ কোম্পানি খুঁজে পায়নি। আমি ২০১৮ সাল থেকে আজ অব্দি আমার ব্যাংক স্টেটমেন্ট হিসেবে চায়নিজ কোম্পানি পলি টেকনোলজিস ইনক থেকে প্রায় ৪৭ কোটি টাকার অধিক ব্যাংক চেক আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান জি.বি কর্পোরেশন এর নামে গ্রহণ করেছি। যা পলি টেকনোলজিস ইনক আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান জি.বি কর্পোরেশন অ্যাকাউন্ট পে পরিশোধ করেছে।
এখন আপনারা বলেন প্রতিটি কাজে আমার সকল খরচ বাদ দিয়ে যদি ৬% লাভ হিসাব করে ব্যবসা করি তাহলে আমি কত টাকা এই প্রজেক্ট থেকে ইনকাম করেছি একবার আপনারা ভেবে দেখুন। ধরেন আমি প্রায় ২ থেকে আড়াই কোটি টাকা ইনকাম করেছি। আমার এই ইনকামের যদি টেক্স দেওয়া না থাকে তাহলে বাংলাদেশ দূর্নীতি দমন কমিশন টেক্স ফাঁকি দেওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি ২০১৯ সালে প্রথম ইনকাম টেক্স ফাইল খুলে ইনকাম টেক্স প্রদান করেছি। প্রতিবছর যা ব্যবসা করে লাভবান হয়েছি তার ইনকাম টেক্স প্রধান করেছি। আমার স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পত্তি ও আমার বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ এবং ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতসহ আমার সমস্ত সম্পদের সমপরিমাণ টাকার যদি ইনকাম টেক্সট দেওয়া না থাকে তাহলে বাংলাদেশ দূর্নীতি দমন কমিশন টেক্সট ফাঁকি দেওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু আজ আমাকে বানিয়ে দিয়েছে ৫০ কোটি টাকার মালিক। আরও লিখেছে, “ছাত্রলীগের পদবি নাকি আমার জন্য আলাদীনের চেরাগ !” কি হাস্যকর কথাবার্তা!
এবার আসুন ব্যবসায় লেনদেন বিষয়ে। আমি যে প্রায় ৪৫ কোটি টাকার ব্যবসা বাণিজ্য করেছি সব তো চায়নিজদের বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন মেটেরিয়াল সাপ্লাই দিয়ে ব্যবসা করেছি। আর এসব মেটেরিয়াল এবং ইকুইপমেন্ট তো আমি নিজে তৈরি করিনি বা আমার নিজের না। এসব আমি বিভিন্ন মানুষ থেকে নিয়ে এনে চায়নিজকে সরবরাহ করেছি। সে সুবাদে আমার বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার নানান মানুষের সাথে ব্যবসায়িক খাতিরে বিভিন্ন লেনদেন হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে আমার এখনো প্রতিনিয়ত ব্যবসা বাণিজ্য চলতেছে। অনেকের সাথে হিসাব নিকাশ গুছিয়ে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে লেনদেন, হিসাব নিকাশ দেনা পাওনা থাকা স্বাভাবিক। তাই বলে যাদেরকে আমি চিনি না, জানি না, যে নামের ব্যক্তির সাথে আমার এযাবৎকালে কোন ধরনের লেনদেন বা ব্যবসা বাণিজ্য হয়নি সেরকম কিছু মানুষ কোথায় থেকে ধরে এনে নামঠিকানা বিহীন আমার থেকে টাকা পাওনাদার বলে উল্লেখ করে যে নিউজ পত্রিকায় ছাপিয়ে দিলে কি আমার তাদের টাকা দিয়ে দিতে হবে ? তাদের সাথে যদি আমার কোন প্রকার ব্যবসা হয়ে থাকে তাহলে ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র এবং লেনদেনের হিসাব নিকাশ নিয়ে আমার পেকুয়া জুবাইদা কনস্ট্রাকশনের অফিসে আসতে বলুন। তারা যদি আমার থেকে টাকা পাবে এটা প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি এককালীন তাদের টাকা নগদে পরিশোধ করে দিবো। বাঁশখালীর ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরান ভাইয়ের সাথে আমার সামান্য লেনদেন রয়েছে। তার সাথে এবার কোরবানি ঈদের আগে আমার ঢাকায় মিটিং হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজ উদ্দিন সুমন ভাইও উপস্থিত ছিল। তাদেরকে আমি এবিষয়ে কয়েকবার এসে বৈঠক করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি যথাযথ সময় দিতে কালক্ষেপণ করেছে। আমার সাথে সুসম্পর্কের খাতিরে তাঁকে আমি বাঁশখালী থেকে এনে চায়নিজ কোম্পানির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমরা যৌথভাবে জিওব্যাগ ভরাটের ওয়ার্ক অর্ডার নিয়েছিলাম। তিনি মূলধনের অভাবে সমান সমান বিনিয়োগ করতে না পারায় তার সাথে বিনিয়োগ এবং বেনিফিট হিসাব নিয়ে আমার সাথে সামান্য বিরোধ লেগে আছে। তার জের ধরে আমাদের হিসাবটা আজ অব্দি শেষ না হয়ে চলমান রয়েছে। আমি তাঁকে বিভিন্ন সময় টাকা দিয়েছি। সর্বশেষ এবার কোরবানের সময়ও এক লাখ টাকা দিয়েছি। অথচ এই এক লাখ টাকা দেওয়ার সময় আমি রিয়াজ উদ্দিন সুমন ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা বলে দিয়েছি। আমি তাকে বলেছি, আপনার অনুরোধে আমি টাকা দিচ্ছি। এবার আপনি সহ এসে হিসাব না করলে আমি আর এক টাকাও দিবো না। কিন্তু উনারা আজ পর্যন্ত আমার সাথে হিসেবে বসেনি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগের বিষয়ে আমি ইমরান ভাইয়ের থেকে জিজ্ঞেস করলে উনি সরাসরি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। এছাড়া মহেশখালীর এক কাউছারের সাথে আমার লাখ তিনেক টাকার লেনদেন রয়েছে। তাঁকে এবার ঈদে সহ প্রতিনিয়ত টাকা পরিশোধ করে আসছি। আমার সাথে তার লেনদেন সমাপ্ত না হওয়ার অন্যতম কারণ তিনি চিটাগং থেকে ভাড়ায় ইকুইপমেন্ট এনে আমাকে সরবরাহ করে। কিন্তু আমি প্রতি মাসে মাসে তাকে বিল পরিশোধ করলেও তিনি চিটাগং ইকুইপমেন্ট কোম্পানিকে বিল পরিশোধ করেননি! পরবর্তী চিটাগং ইকুইপমেন্ট কোম্পানি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আজম নাছির উদ্দীন ভাই এবং চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন ভাইয়ের মাধ্যমে অনুরোধ করে কাউছারকে আর টাকা না দিয়ে চট্টগ্রামের লোকটার হাতে সরাসরি টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এই সমস্যার কারণে তার সাথে আমার লাখ তিনেক টাকার লেনদেন রয়েছে। এছাড়া পেকুয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এসডি সেন্টারের মালিক সরওয়ার ও চট্টগ্রামের ইলিয়াস ভাই এবং আব্দুল গফুর, আবু মামা, আরেফিন ভাইয়ের সাথে আমার প্রতিনিয়ত এখনো ব্যবসা চলছে এবং ব্যবসার খাতিরে তাদের সাথে আমার কিছুটা লেনদেন রয়েছে। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমে দিদার, মোরশেদ, জালাল, এবং পেকুয়া বাজারের এক ব্যবসায়ী টাকা পাচ্ছে বলে যে অভিযোগ করেছে। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এই নামের কোন ব্যক্তির সাথে আমার এযাবৎকালে কোন প্রকার ব্যবসা হয়নি।
আর একটা বিষয় আপনারা জানেন, আমি গতবছর পেকুয়া বাজারের ইজারাদার ছিলাম। তখন তরকারি বাজারের দুই তিন জন ব্যবসায়ী কোন প্রকার ইজারার টোল দিতে চাইতো না। আমি ইজারা টোল আদায়ে চাপ প্রয়োগ করলে তারা কিছু কুচক্রী মহলের ইন্ধনে ইজারাদারের বিরুদ্ধে একটা ভিত্তিহীন তালিকা তৈরি করে তরকারি সওদাগর বলে আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে। পরবর্তীতে নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় এটার সত্যায়িত যাচাই—বাছাই করে তাদের অভিযোগ তখন নাকচ করে দেন। তাছাড়া এখন আমি আর পেকুয়া বাজারের ইজারাদার নেইও।
আজ বড় আপসোসের বিষয় কতিপয় সাংবাদিক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আমাকে ৫০ কোটি টাকার মালিক বানিয়ে দিয়েছে। আমার নাকি পেকুয়ায় বেশ কয়েকটি কোটি কোটি টাকার জায়গা রয়েছে। পেকুয়াবাসী জানে, পেকুয়া এসডি সেন্টারের পেছনে এসডি সেন্টারের মালিকের বাড়ি ছাড়া আর কোন খালি জায়গা নাই। অথচ আমার নাকি এসডি সেন্টারের পেছনে দুই কানি জমি রয়েছে। এগুলো কোথায় ভাই? কিভাবে এসব কথা লিখেন? আমার নাকি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। আমার নিজের একটা ডাবল কেবিন পিক—আপ রয়েছে। যাহা ইসলামী ব্যাংক থেকে টেন্ডারে দরপত্র মূল্যে ১২ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। যা আমি চায়নিজকে মাসিক ভাড়া দেওয়ার জন্য নিয়েছিলাম এবং এক বছরের অধিক প্রজেক্টে ভাড়াও দিয়েছি। এখন ভাড়া শেষে সেটি পরিত্যক্ত গাড়ি হিসাবে আমার বাসার নিচে পড়ে রয়েছে। এছাড়া আমার আর কোন গাড়ি নেই। আমার নামে একটা মোটরসাইকেলও নেই। আর একটা বিষয় আপনাদের ক্লিয়ার করি, অনেকে হয়তো দেখেছেন আমাকে কালো রঙ্গের একটি ২০০৫ মডেলের নিশান এক্সট্রাইল ব্যবহার করতে। এটা মূলত ব্যবসায়িক খাতিরে ঢাকার আমার এক ব্যবসায় বন্ধু থেকে নিয়ে এসেছিলাম। কিছুদিন ব্যবহার করার পরে তা এখন আবার ঢাকায় ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। এছাড়া আমার নামে আর একটা গাড়ি যদি দেখাতে পারে আমি পেকুয়া হিজরত করবো। লায়ন মুজিবের সাথে আমার কয়েক কোটি টাকার জায়গা কেনার কথাও নিউজে উল্লেখ করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমার মেঝ ভাই মোহাম্মদ কাইছার দীর্ঘ ২০ বছর পরে বিদেশ থেকে এসে দেশে একটি ব্যবসা বাণিজ্য করার চিন্তা করে। তখন আমরা পারিবারিকভাবে বসে লায়ন মুজিব থেকে ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সরকারি খাস জায়গাটির দখল স্বত্ব কিনে নিয়ে জুবাইদা কনস্ট্রাকশন নামে রড সিমেন্টের দোকানটি দিয়েছি। এছাড়া লায়ন মুজিবের সাথে আমার আর কোন লেনদেন হয়নি। পেকুয়া চৌমুহনী ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন মধুমাঝি বাড়ি নাছির উদ্দীন থেকে একটা জায়গা বায়না করেছি। টাকার অভাবে তা এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রি করতে পারিনি।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই, সমাজের সুশীল, সচেতন ভাই ও বোনেরা আপনারা সত্য এবং মিথ্যা যাচাই—বাছাই করুন। কারো মনগড়া ও ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা নিউজের উপর নির্ভর করে আমাকে দোষারোপ করবেন না। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ ভূয়া এবং ষড়যন্ত্রমূলক। আমি আইনের উর্ধ্বে নয়। আমি যদি অপরাধী হই তাহলে আমি সকল শাস্তি মাথা পেতে নিবো। আমি যদি দোষী প্রমাণিত হই আমি স্বেচ্ছায় ছাত্রলীগের পদ থেকে অব্যাহতি নিবো। আমাকে এই অপরাধের যা শাস্তি দিবেন তা মাথা পেতে নিবো। দয়াকরে আমাকে আর সামাজিকভাবে ছোট করবেন না। আপনারা লক্ষ্য করেছেন তারা নিউজে এমনকিছু শব্দ ছাপিয়েছে যা সরাসরি আমার হৃদয়ে আঘাত করেছে। এই ধরনের নিউজ পড়ে নিজেই রীতিমতো আত্মহত্যা করতে বাধ্য করার মত বিষয়। এই শব্দ গুলো এতো নোংরা ছিল যে আমি লিখে আপনাদের বুঝাতে নিজেই লজ্জিত হচ্ছি। আমি একজন সামাজিক মানুষ। এই সমাজে আমাকে মিথ্যাভাবে হয়রানি এবং অসম্মানি করে কেউ কোনদিন পার পাবে না। সৃষ্টিকর্তা সব দেখছেন। আমি যদি সত্য এবং ন্যায়ে থাকি পৃথিবীর কোন অপশক্তি আমার গায়ের একটা লোমও ছুয়ে দেখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
আমি শপথ করে বলছি আমার বিরুদ্ধে যা অপপ্রচার হচ্ছে সব মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যেপ্রণেদিত। তার আমার একদিনের শত্রু নয়। তারা ২০১৭ সালে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় মিছিলে হামলা করে আমাকে মামলা দিয়ে দমাতে চেয়েছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। অনেকের পতনও হয়েছে। এখন যারা এসব করছে তাদেরও পতন হবে। তারা প্রকৃতির শাস্তি পাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।
আমি পেকুয়া মগনামা নির্মাণাধীন বিএনএস শেখ হাসিনা সাবমেরিন নৌঘাঁটিতে কমপক্ষে ৫ হাজার অধিক মানুষকে চাকরি দিয়েছি। কখনো কারো থেকে এক টাকা নিয়েছি তা বলতে পারবে না। আমার নিজস্ব কোম্পানিতে ২০—২৫ জন মানুষকে বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন সাইটে চাকরি দিয়েছি। এখন তারা তাদেরকে আমার বেতনভুক্ত কিশোর গ্যাং বলে প্রচার চালাচ্ছে। আমি চায়নিজ প্রজেক্টে কমপক্ষে ৩০—৩৫ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করেছি। এখন তারা অনেকে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছে। অনেকের পরিবারে হাসি ফুটিয়েছি। বেকারত্ব দূরীকরণে অবদান রেখেছি। আল্লাহর রহমতে এতগুলো পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে পেরে আমি নিজেকে একজন সফল মানুষ মনে করি।
আমি একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। যত ষড়যন্ত্র আসুক, হাসিমুখে সবকিছু মোকাবেলা করে যাব ইনশাআল্লাহ।
এইচএম শওকত
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ- কক্সবাজার জেলা শাখা।