এম.এ আজিজ রাসেল:
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসার তিন ঘণ্টা পর মারা গেল একটি ডলফিন। ৬ ফুট লম্বা ও ৩৫ কেজি ওজনের ডলফিনের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গভীর সাগরে মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়ার পর লাঠি দিয়ে ডলফিনটিকে আঘাত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আহত ডলফিনটি জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে কক্সবাজার শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরের উখিয়ার পাটুয়ারটেক সৈকতে। সেখানে জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীরা অসুস্থ ডলফিনটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বন, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য বিভাগের কর্মীরা। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ডলফিনটি মারা যায়।
এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, নানাভাবে চেষ্টা করেও ডলফিনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ডলফিনটি মারা গেছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সেখানে বন ও মৎস্য বিভাগের লোকজন কাজ করছেন।
পাটুয়ারটেকের স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মালেক (৫৫) বলেন, দুপুর ১২টার দিকে জোয়ারের পানিতে একটি ডলফিনের ছোটাছুটি দেখে কয়েকজন এগিয়ে যান। দেখতে পান বিশাল একটি ডলফিন। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, সমুদ্র উত্তাল থাকায় গভীর সাগর থেকে দিক হারিয়ে ডলফিনটি উপকূলের দিকে ছুটে এসেছে।
কাছাকাছি আসার পর দেখা গেল, ডলফিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন। এরপর সৈকত রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাঁরা অসুস্থ ডলফিনটিকে প্রাণে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এরপর বন, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়।
বিকেল চারটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) সারওয়ার আলম বলেন, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ডলফিনটি মারা গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরা ডলফিন বালুচরে পুঁতে ফেলা হবে। ডলফিনটি লম্বায় ৬ ফুট, ওজন ৩৫ কেজি। ডলফিনের পেট ও শরীরের আঘাতের চিহ্ন আছে।