-এম আর মাহমুদ
শিয়াল দূর্ত, এক সময় কুমিরের সাথে শিয়ালের বন্ধুত্ব হয়। দু’জনের দিনকাল যাচ্ছিল খুব ভালোই। হঠাৎ এক সময় শিয়াল কুমিরকে প্রস্তাব দিল আলু চাষ করার জন্য। কুমির শিয়ালের জবাবে বলল মন্দ কি।
যেমন কথা তেমনই কাজ, শুরু করলো আলু চাষ। ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলনের সময় আসলে শিয়াল প্রস্তাব করলো আমি মাটির নিচের অংশ নেব। আর কুমির বললো ঠিক আছে, আমি ওপরের অংশই নেব। শিয়াল নিচের অংশের সব আলু তুলে নিয়ে গেল। কুমির ওপরের অংশের লতাগুলো ছাড়া কিছুই পেল না। এতে কুমির চরম ভাবে হতাশ হয়ে পড়লো। পরে শিয়াল কুমিরকে বলে বসলো বন্ধু হতাশ হয়ো না। এবার করবো ইক্ষু চাষ। আমি নেব ওপরের অংশ তুমি নেবে নিচের অংশ। গতবারের ক্ষতি এবার পুষিয়ে নিতে পারবে।
সে মোতাবেক দু’জনই ইক্ষু চাষ করলো। পরে ইক্ষু বড় হওয়ার পর ইক্ষুর ওপরের অংশ আরামে ভক্ষণ করলো শিয়াল। কুমির মাটির নিচের অংশ শিকড় ছাড়া কিছুই পেল না। মনের দু:খ ও হতাশায় বলতে থাকলো তোর সাথে বন্ধুত্ব করে বড় ভূল করেছি। সুযোগ পেলে তোকে দেখিয়ে ছাড়বো। একথা বলে কুমির চলে গেল নদীতে, শিয়াল চলে গেল বনের ভেতরে। এক সময় শিয়াল নদী পার হতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল কুমিরের হাতে। তখন কুমির বলল অনেক চালাকি করেছো তুমি, এবার তোমাকে ভক্ষণ করবো।
এ কথা বলার পর কুমির শিয়ালের পেছনের পা ধরে টান দিতেই দূর্ত শিয়াল বলে উঠলো আমার পা না ধরে লাকড়ি ধরছো কেন। তখন কুমির পা ছেড়ে দিতেই দ্রুত বেগে শিয়াল পালিয়ে গেল। প্রাণে রক্ষা পেল শিয়াল। চরম হতাশায় পড়লো কুমির।
সমাজে দূর্ত শিয়ালের মতো মানুষের অাধিক্য বাড়ছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে কুমির শ্রেণির মানুষ গুলো। এটাই হলো বাস্তবতা। মন্তব্য নিস্প্রয়োজন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।