শেফাইল উদ্দিন:
বাংলাদেশ বেতার, কক্সবাজার কর্তৃক বিশ্ব শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে শিশুর জন্য উদ্ভাবনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঈদগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের অর্থায়নে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর এসবিসি টিম লিডার মিঃ জর্জিনা মেথেঙ্গা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেদে, জেলে, প্রতিবন্ধী সহ সব শিশুদের সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে পারস্পরিক ভালবাসা, পরিচর্যা ও অংশগ্রহণ, সুযোগ দানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি সুস্থ, সবল জাতি গঠনে এ ধরনের আয়োজন সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
এতে শিশুদের সময় মত পড়ালেখা, খেলাধুলা ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধনের আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বেতার, কক্সবাজার কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফ কবির। বাংলাদেশ বেতারের সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) মোহাম্মদ সোলতান আহমদের সঞ্চালনায় এতে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন জেলা সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার অসীম সূত্রধর ও পুষ্টিবিদ ডাক্তার মিতা দাশ। শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এ সময় ভেন্যু বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসনাত আরা বেগম, ইউনিসেফ এর এসবিসি অফিসার মোঃ রাশিদুল হাসান, বাংলাদেশ বেতার, কক্সবাজারের সংবাদদাতা মোঃ রেজাউল করিম ও ইউনিসেফ এর সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।।
মেলার কর্মসূচিতে ছিল আলোচনা, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নোত্তর, যেমন খুশি আঁকা- আঁকি, বেতার স্রবণ, গান, আড্ডা, খেলাধুলা, কুইজ প্রভৃতি।
মেলায় আগত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য বিষয়ে নানা প্রশ্ন ও মতবিনিময়ে অংশ নেয়। প্রশ্নের উত্তর দেন উপস্থিত চিকিৎসকরা।
এতে কয়েকটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নানা শ্রেণীর কিশোর- কিশোরী বেতার শ্রোতা ক্লাবের সদস্য শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
মেলায় তিনটি স্টল খোলা হয়েছিল। স্টল গুলোর নাম হচ্ছে ‘রেডিও শ্রবণ ও সংগীত কর্নার’, ‘পিতা-মাতা, শিক্ষক ও শিশু কর্নার’ এবং ‘যেমন খুশি তেমন আঁকা কর্নার’।
অন্য বক্তারা বলেন, বই নিষ্প্রাণ নয়। একটি বই সমাজ ও জাতিকে পরিবর্তন করতে পারে। বই পড়ার মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হয়। বাগান পরিচর্যা করলে যেমন ভালো ফল পাওয়া যায় তেমনি নিজেদের পড়ালেখার যত্ন করলে যোগ্য মানুষ হওয়া যায়। নিজেদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে পিতা মাতা ও শিক্ষকের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নিয়মিত শাকসবজি ও ছোট মাছ খেতে হবে। সময়মত পরিমিত স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। সকল শিশুকে সমান চোখে দেখতে হবে। পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। নিজেদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
বক্তারা মানসিক বিকাশ সাধনের জন্য বই পড়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য খেলাধুলা প্রয়োজন। খেলাধুলা করলে শরীর ও মন প্রফুল্ল থাকে।
আলোচকরা চলমান ভয়াবহ ডেঙ্গু থেকে শিশুদেরকে সুরক্ষার আহ্বান জানান।
এর জন্য আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন মোবাইলের অপব্যবহার না করে সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঋতুভিত্তিক ফলমূল, শাক সবজি উপস্থিতি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বাহিরের পচা, বাঁসি ও দুর্গন্ধযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার শিশুদের শরীরের জন্য খুবই উপযোগী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।