প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
আজ ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। এটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে পরিচিত। এরই ধারাবাহিকতায় সেদিন নিহত জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইনের নির্দেশে উখিয়ার রুমখাঁ হাজীর পাড়া জামে মসজিদে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসাইনের নেতৃত্বে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ শেষে আলমগীর হোসাইন বলেন খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে জিয়ার সেনারা। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তার বিশ্বস্ত সহযোগী জাতীয় চার নেতাকে আটক করে খুনিরা। খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের ধারণা ছিল, মুক্তিযুদ্ধের চার সংগঠক বাইরে থাকলে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আবার দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে পারে। এজন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর লাশ যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের বাড়ির সিঁড়িতে পড়ে ছিল, ঠিক তখনই তড়িঘড়ি করে খুনিদের সহায়তায় নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে খন্দকার মোশতাক। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার অনেকেই স্বেচ্ছায়, আবার অনেকে বাধ্য হয়ে যোগদান করে মোশতাকের মন্ত্রিসভায়। আর যারা যোগদানে রাজি হননি তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়। এমনকি প্রাণ দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলার মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততার নিদর্শন স্থাপন করে গেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও এইচ এম কামারুজ্জামান।
তিনি আরো বলেন, আজকের দিনে আমি বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ জাতীয় চার নেতাকে। আমি মহান আল্লাহ তা’য়ালার কাছে প্রার্থনা করি জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেহেশতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।