ঘরে তাঁর ৭ বছর ও সাড়ে ৫ বছর বয়সী দু’টি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। তাদের কোমলমনেও অন্য শিশুদের মত ইচ্ছে জাগে নিজের বাবার হাত ধরে হাটার, বাজার থেকে বিভিন্ন কিছু আনার জন্য বাবার কাছে বায়না ধরার। তাদেরও মন চায় বাবাকে ঘিরে আনন্দ-কৌতুহলে জেগে উঠার। আর বাবারও মন চায় নিজের শিশু সন্তানদের সাথে করে নানান জায়গায় যেতে, সন্তানদের আবদার পূরণ করে পিতৃস্নেহের পরশ বুলিয়ে দিতে। কিন্তু বাবা ও সন্তানদের এমন সব আশা যেন কালোমেঘে ঢাকা পড়েছে। পিতার সুস্থ শরীরে ধীরে ধীরে বাসা বাধে জটিল রোগ। ফলে কর্তব্যগুণে একসময়ের কর্মচঞ্চল পিতা ক্রমেই দূর্বল হয়ে পড়েন। নানা চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে বিজ্ঞ চিকিৎসক জানান, তাঁর দুটি কিডনিই প্রায় বিকল হয়ে গেছে। নিজের সাধ্যের অনুকুলে চিকিৎসা করতে করতে এখন বলতে গেলে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। আল্লাহর অশেষ রহমতে দু’টির মধ্যে একটি কিডনির কিছু অংশ ভালো থাকায় প্রাণে বেঁচে থাকলেও নিতান্তই দূর্বল অবস্থায় অতিকষ্টে তাঁর প্রতিটি মুহুর্ত কাটছে।

বলছিলাম আমাদের সহপাঠী, প্রিয় বন্ধু হাফেজে কুরআন ও তরুণ আলেমেদ্বীন মাওলানা হাফেজ মাহমুদুল হকের কথা। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নিদানিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
হাফেজে কুরআন হওয়ার পরে রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম নানুপুর জামিয়া ওবাইদিয়ায় ধারাবািহিকভাবে পড়াশোনা করে তিনি আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। ফারেগ হয়েই তিনি হিফজুল কুরআনের শিক্ষকতায় নিবেদিত হন। ইতোমধ্যে ২০১৩ সালে শাদীয়ে মোবারক সম্পন্ন করেন। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন হিফ্জখানায় শিক্ষকতার খেদমত আঞ্জাম দিয়ে একপর্যায়ে নিজ এলাকার একটি হিফজখানায় খেদমতরত ছিলেন। সহপাঠী আলেম বন্ধুদের মতো তাঁরও ইচ্ছে ছিলো আজীবন দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেদমত করে যাবেন।কিন্তু এরই মধ্যে দুটি কিডনিই প্রায় বিকল হয়ে যাওয়ায় তাঁর প্রাণে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে আসে।

এমতাবস্থায় একটি কিডনি প্রতিস্থাপনসহ যথাযথ চিকিৎসাসেবা পেলে হয়তো আল্লাহর রহমতে আবারো একজন হাফেজে কুরআন তাঁর পূর্ণ সুস্থ জীবন ফিরে পাবেন। শিশু সন্তানেরা পাবেন পিতার অকৃত্রিম অভিভাবকত্বের দীর্ঘ ছায়া-মায়া।
কিন্তু এতদিনে চিকিৎসা করতে করতে একেবারে নিঃস্ব পড়া এ হাফেজে কুরআনের পক্ষে নিজের খরচে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা খুবই দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফলে মানবিক কর্তব্যবোধ থেকে আমরা তার রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসা প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে “হাফেজ মাহমুদুল হক চিকিৎসা সহায়তা তহবিল” নামে একটি মানবিক উদ্যোগ গ্রহন করেছি।
আসুন! তাঁর সুস্থতার জন্য আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে ফরিয়াদ জানাই এবং মানবিক চেতনাবোধ থেকে একজন হাফেজে কুরআনের জীবন বাঁচাতে যার যার সাধ্যের অনুকুলে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করি।

সার্বিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা পাঠাতে পারেন-
বিকাশ নং -01840880280।

বিঃদ্রঃ সহযোগিতা সরূপ বিকাশে টাকা পাঠানোর পরে উল্লেখিত মোবাইল ফোনে মাওলানা নুর মুহাম্মদ (প্রধান সমন্বয়কারী-হাফেজ মাহমুদুল হক চিকিৎসা সহায়তা তহবিল) এর সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত করলে ভালো হবে।