আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
লক্ষ্মীপুর থেকে কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা ক্রয় করতে এসে ইয়াবা কারবারীদের হাতে হুমায়ন রশিদ প্রকাশ সুমন(৩৪) নামে এক ব্যক্ত নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত ব্যক্তি হলেন, লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাসিবুর রহমানের ছেলে এবং আহত ব্যক্তি একই জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার হাসেমদি গ্রামের এনজু মিয়ার ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম(৩৮)।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১০ দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যা ঘোনা পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পাহাড়ি এলাকা থেকে হুমায়ুন রশিদ সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হালিম।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর থেকে আসা উক্ত দুই ব্যক্তি কক্সবাজারের একটি হোটেলে রাত্রিযাপনের পর শুক্রবার
(৯ ডিসেম্বর) বিকেলে টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা স্টেশন এলাকায় আসলে হ্নীলা মরিচাঘোনা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মাদক কারবারী ইব্রাহিম (২০) ও একই এলাকার জাফর হোসেনের ছেলে রাসেল(২১) ও ফয়সাল তাদেরকে মরিচ্যা ঘোনায় তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।এরপর তাদের সাথে ইয়াবা ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের দুই ব্যক্তিকে তারা পাহাড়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করলে হুমায়ুন রশিদ সুমনের মৃত্যু হয়।এবং অন্যজনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বলে জানা গেছে।

নিহত হুমায়ুনের স্ত্রী শাহেনা আক্তার মিথিনা জানান,”আমার স্বামী আর জহিরুল সিলেট হয়ে টেকনাফে গেছেন, যাওয়ার সময় তারা ৩ লাখ টাকাও নিয়ে গেছেন বলে জেনেছি। ইব্রহীমরা আমাকে বারবার ফোনে বলেছিল,টাকা না দিলে তাদেরকে মেরে ফেলবে, তবে সেটা আমি বিশ্বাসও করতে পারিনি,এখন সত্যিই মেরে ফেলেছে। “তিনি স্বামী হত্যার বিচার দাবী করেন।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হালিম জানান,হ্নীলা মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ি এলাকা থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আহত অবস্থায় আরও একজনকে পাওয়া গেছে।এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।