বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক ও যুগান্তরে “মেয়র—ছাত্রলীগ নেতার দ্বন্দ্বেই হঠাৎ অস্থিরতা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংবাদে আমাকে জড়িয়ে অহেতুক মিথ্যাচার করা হয়েছে। যা আমার রাজনীতির বিরোধী পক্ষের ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

সংবাদে একটি গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে প্রতিবেদক উল্লেখ করেন, মোনাফ সিকদারকে গুলি করার আগে আমার নেতৃত্বে কয়েকদফা গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাদশাঘোনা থেকে শুটার ভাড়া ও পাহাড়তলী থেকে বিদেশী পিস্তল কেনার কথা উল্লেখ করা হয়। যা হাস্যকর এবং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপকৌশল মাত্র। দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর নাম দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং সুনাম ক্ষুন্ন করা সত্যিই উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, কোন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য—উপাত্তের মধ্য দিয়ে আমাকে উক্ত ঘটনায় জড়ানো হয়েছে তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। গোয়েন্দা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো নিয়ে তাদের জবাবদিহিতার পাশাপাশি আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। আর সংবাদে আমার কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি। যা সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতার পরিপন্থী। প্রতিবেদকের ভাষ্য, মোবাইল বন্ধ থাকায় আমার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এটাও চরম মিথ্যাচার। কারণ আমার মোবাইল সবসময় খোলা থাকে। প্রকৃতপক্ষে আমি একজন সাংবাদিক বান্ধব। আমার সাথে কক্সবাজারের সাংবাদিক ভাইদের সাথে সৌহাদ্যর্পূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যামান।

মূলতঃ আমি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী ও কক্সবাজার পৌর শ্রমিক লীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছি। শ্রমিকলীগকে তৃণমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া আসন্ন জেলা শ্রমিক লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ায় আমার প্রতিপক্ষ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে জননেতা মেয়র মুজিবুর রহমান ও আমার বিরুদ্ধে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা চিহ্নিত চক্রটি একের পর এক মামলা, মোকদ্দমা ও অপপ্রচারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যা কক্সবাজারবাসী অবগত।

দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক যুগান্তরে আমাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, তাতে আমার চরম সম্মানহানি হয়। তাই বাধ্য হয়ে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তাদের মিথ্যা অপপ্রচারে প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। সেই সাথে ভিত্তিহীন এবং ভূঁয়া সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
শাহেদুল আলম রানা
আহবায়ক
জাতীয় শ্রমিকলীগ, কক্সবাজার পৌর শাখা।