দীপন বিশ্বাস :
শূরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। তাই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটছে। কক্সবাজারের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন। শুধু দেশী পর্যটক নয়, বিদেশী পর্যটকদেরও দেখা মেলে সমুদ্র সৈকতে। বিজয় দিবসের ছুটিকে কেন্দ্র করে প্রায় লক্ষাধিক পর্যটকের ঢল নামে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্র সৈকতে অনেকেই কুকুরের উপদ্রব দেখে নিরুৎসাহিত হওয়ার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
ঢাকা মগবাজার থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটক দম্পতি রাজু ও অন্বেসা জানান, বিজয় দিবসের আনন্দ উপভোগে দু’দিনের জন্য কক্সবাজার এসেছি। সৈকতে দেখি কুকুর আর কুকুর। একেবারে বেঁধে তাদের বিচরণ। অনেকটা গায়ের উপর লাফ দিচ্ছিল। ভয়ে কাতর হয়ে যায। এসব কুকুরের উপদ্রব সামাল দেওয়া না গেলে পরিবেশ খুবই নাজুক হয়ে যাবে। ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগে বিরক্ত হয়ে পড়বেন।
বীচ ব্যবসায়ী সমিতির সবাপতি মোশারফ হোসেন দুলাল বলেন, ইদানীং সৈকতে কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে যা পর্যটকদের অতিষ্ঠের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় কুকুরের উপদ্রব রোধে, কুকুর নিধন করা হতো, এখন তা হয় না। পরিবেশবাদী সংগঠনের বিরুধীতার ফলে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন কুকুরের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য কুকুরকে বেকসিন দেয় সরকার। যার ফলে কুকুরের উপদ্রব দ্রুত বেড়ে গেছে।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন বলেন, শুধু সমুদ্র সৈকত নয়, পুরো কক্সবাজার কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। এ নিযে পৌর কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্হা নিতে হবে। নযতো উপদ্রব রোধ সম্ভব নয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।