মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ায় ঘেরাবেড়া ও বাঁধ দিয়ে সরকারি খাল দখল করা হয়েছে। বনভূমি কেটে খালের উপর অবৈধভাবে করা হয়েছে ধানচাষ। চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট চা-বাগান রিংভং মৌজার ১৬৪ নং খতিয়ানভুক্ত খাল ও ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ আওতাধীন বনভূমিতে চলছে এই জবরদখল কার্যক্রম। সরেজমিনে মালুমঘাটের চা-বাগান উত্তরপাড়া এলাকায় এ ভয়ঙ্কর চিত্র পর্যবেক্ষণ শেষে জড়িতদের তথ্য খুঁজতে গিয়ে উঠে আসে ওই এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র ছাবের আহমদের নাম।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ছাবের আহমেদ এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইন্দনে সরকারী খাল দখলে মেতে উঠেছে। পানি চলাচলের সরকারি খালে ঘেরা বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে ধান চাষ করে যাচ্ছেন। চাষ উপযোগী করতে খালের নিকটস্থ ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ আওতাধীন বনভূমি কেটেছেন তিনি।
একই এলাকার শামসুল আলম নামের ব্যক্তি বলেন, সরকারী খাল দখল ছাড়াও নিজের ক্রয়কৃত বাড়িভিটের খতিয়ান ভুক্ত জমিতে বনভূমির অংশ রয়েছে দাবী করে জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন এই ছাবের আহমেদ। প্রতিনিয়ত গালমন্দ ও হুমকি ধামকিতে অসহ্য হয়ে আদালতে মামলাও করেছেন তিনি। এছাড়াও এলাকাবাসীর কাছ থেকে ছাবের আহমেদের বিরুদ্ধে আরো বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি খাল দখলের কারণ জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাবের আহমেদ জানান, তার বাড়ি-ভিটের মাথাখিলা হিসেবে পানি চলাচলের খাল দখল করেছেন এবং ধানও চাষ করেছেন। এভাবে খালের পূর্ব দীকে আরো অনেকে দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে খালে তিনি বাঁধ দেননি দাবি করে বলেন, গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ধুঁয়া-পালা করতে খালে ঘাঁট করে দেয় মেম্বার চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে পথ করে দেয়া হয়েছিল কিন্তু পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়নি। খালের উপর ধান চাষ, বনভূমি কাটা ও অপরজনের জায়গা দখল সম্পর্কে তিনি জানেন না। এরকম কারো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ সমাধান করবেন বলেও জানান শওকত আলী।
বনভূমি কাটাকাটি সম্পর্কে অবগত আছেন কিনা জানতে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান জানান, সরকারী খাল দখল করার কারো অধিকার নাই। বিষয়টি এখন অবগত হয়েছি। এটি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
চকরিয়ায় ঘেরাবেড়া দিয়ে সরকারী খাল দখল, বনভূমি কেটে খালের উপর ধান চাষ
