মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

তিন লক্ষ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় ৬ জন মিয়ানমারের নাগরিকের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে প্রত্যককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে আরো ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার ১১ জানুয়ারি কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ও একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসামীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোঃ হারুন অর রশিদ।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :

২০১৮ সালের ১ মার্চ ১২ টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পূর্বে বাংলাদেশী সমুদ্র সীমায় কোস্ট গার্ড টেকনাফ স্টেশনের একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে ৬ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে-বরিমা বড়ুয়ার পুত্র চাওনা বড়ুয়া (৩০), থ্যাইন চউলের পুত্র
লাম সিং (৫৫), রাসিঅং প্রকাশ কাশিঅং এর পুত্র মংসা (৪৫), তাজ অং এর পুত্র চাওনা (৪২), উলাটিং অং এর পুত্র মংচেতে (৫০) এবং মাংসাও এর পুত্র উয়ানাই (৩০)। তারা প্রত্যেকে মায়ানমারের আকিয়াব জেলার নাগরিক।

আটককৃত ৬ জন বিদেশীর দেহ তল্লাশি করে কোস্ট গার্ড সদস্যরা ৩ লক্ষ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে। এঘটনায় কোস্ট গার্ড টেকনাফ স্টেশনের সিনিয়র পেটি অফিসার এম. খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) সারণীর ৯(খ) ধারায় টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ১/২০১৮ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৯০/২০১৮ ইংরেজি এবং এসটি মামলা নম্বর : ৯৯/২০১৯ ইংরেজি।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারের জন্য চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান, যুক্তিতর্ক সম্পন্ন করে বুধবার মামলাটি রায়ের জন্য রাখা হয়।

রায়ে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ৬ আসামী মায়ানমারের নাগরিককে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) সারণীর ৯(খ) ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে উপরোক্ত সাজা প্রদান করেন।