মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
মেধাবী শেকড়ের ধারাবাহিক উত্তরাধিকার, কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী পরিবার, উমেদআলী সিকদার ফাউন্ডেশন এর সদস্যদের দ্বিতীয় মিলন মেলা আজ শনিবার ২৮ জানুয়ারি। রামু’র রশিদনগরে একই পরিবারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে শনিবার সকাল ৮ টায় শুরু হয়ে দিনব্যাপী এ আয়োজন চলবে।
মিলনমেলায় উপভোগ্য ও নান্দনিক অনুষ্ঠানমালার মধ্যে প্রথম অধিবেশনে রয়েছে-শনিবার সকাল ৮ টায় খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল। সকাল ৯ রেজিষ্ট্রেশন ও উপহার সামগ্রী গ্রহণ, সকাল সাড়ে ১০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সকাল পৌনে ১১ টায় উমেদআলী সিকদার ফাউন্ডেশন’র উপদেষ্টা ও কার্যকরী পরিষদের অভিষেক। সকাল সাড়ে ১১ টায় শোক প্রস্তাব। সকাল পৌনে ১২ টায় ঐতিহ্যবাহী এ পরিবারের সার্বিক পরিচিতি নিয়ে লেখা “শেখড়ের বন্ধন” নামক গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন। দুপুর ১২ টা থেকে সাধারণ সম্পাদক এর স্বাগত বক্তব্য, উন্মুক্ত স্মৃতিচারণ, অতিথি, প্রধান অতিথি ও সভাপতির বক্তব্য।
দ্বিতীয় অধিবেশনে বেলা ১ টা ১৫ মিনিট হতে জোহরের নামাজের বিরতি। বেলা দেড়টা থেকে মধ্যাহ্নভোজ। তৃতীয় অধিবেশনে বিকেল ৩ টা থেকে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ।
উমেদআলী সিকদার ফাউন্ডেশন এর প্রধান উপদেষ্টা, কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান জানান, কক্সবাজারের রাজনীতি, শিক্ষা, ধর্মীয়, ক্রীড়া, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিকতা সহ জেলার প্রায় সর্বক্ষেত্রে এ পরিবারের বিশেষ অবদান রয়েছে। কক্সবাজারকে সমৃদ্ধ করতে এ পরিবার শতাব্দী থেকে শতাব্দী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শনিবার এ পরিবারের দ্বিতীয় মিলনমেলা উপলক্ষে রশিদনগর ও আশেপাশের এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে বলে তিনি জানান।
উমেদআলী সিকদার ফাউন্ডেশন’র সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক বদিউল আলম জানিয়েছেন, মিলনমেলায় আমন্ত্রিত অতিথি, রেজিষ্ট্রেশন করা সকল সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বরণ করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দিনব্যাপী বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানমালা সফল করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউসার বলেন-এটি তাদের দ্বিতীয় মিলনমেলা। এ মিলনমেলা উমেদআলী সিকদার ফাউন্ডেশন এর সকল সদস্যদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে তাঁর বিশ্বাস।
ফাউন্ডেশনের অন্যতম কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান নিক্সন জানান, এ মিলনমেলা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ আগামীর কক্সবাজার বির্নিমাণে আরো অধিকতর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। ফাউন্ডেশন সকল সদস্য ও নব প্রজম্মকে প্রেরণা ও প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ করবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।