এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপসিল মতে তৃতীয় ধাপে চকরিয়া উপজেলার ১০টি ইউপি নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত ইউপি নির্বাচনের মধ্যে কৈয়ারবিল ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে। নির্বাচনের প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠকসহ চলছে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা। তবে নানা কৌশলে এই ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন জনগণের মনোনীত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী ও জনবান্ধব সমাজ সেবক, তরুণ জননেতা হাফেজ আফজল উর রহমান চৌধুরী।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজল চৌধুরীকে বিজয় করতে মাঠে নেমেছেন দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের শ্রেনী পেশার মানুষ। আফজলের সমর্থনে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে তরুণ ও যুবকরা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় প্রচার-প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনা এবং গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তার সমর্থক নারীরাও পিছিয়ে নেই। গণসংযোগ করার পাশাপাশি নিত্যদিন কোন না কোন ওয়ার্ডের মহল্লায় নির্বাচনী উঠান সভা করে চলেছেন তরুণ জননেতা আফজল চৌধুরী।
রবিবার সকাল থেকে ইউনিয়নের কৈয়ারবিল স্টেশন, খোজাখালী, ছোয়ালিয়া পাড়া, ভরিন্যারচর, পাহাড পাড়া এলাকায় বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় এবং অলিগলিতে গণসংযোগ করে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজল উর রহমান চৌধুরী।
এদিকে, শনিবার দিনব্যাপী গণসংযোগ শেষে ওইদিন রাতে ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইসলাম নগর আবাসন পাড়ায় নির্বাচনী এক উঠান সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন আফজল চৌধুরী।
নির্বাচনী উঠান সভায় স্বতন্ত্র চেয়ায়ম্যান প্রার্থী আফজল উর রহমান চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, আজ যেখানে দাঁড়িয়ে কৈয়ারবিল নির্বাচনের দুটি কথা বলার জন্য এসেছি, এটি ছিল অঁজোপাড়া একটি জনপদ। এ জনপদকে মানুষের বাসযোগ্য ও আলোকিত হিসেবে গড়ে তুলেছেন আমার শ্রদ্বেয় মরহুম পিতা চেয়ারম্যান শহীদ হোছাইন চৌধুরী। আজ তিনি বেঁচে নেই। কিন্ত তার রেখে যাওয়া নানা স্মৃতিচিহ্ন এখনো বিদ্যমান রয়েছে। তিনি না হলে আজ ইসলাম নগরবাসী কোন দিন চকরিয়ার ভু-খন্ডে পরিচিত হতো না, আমি তারই একজন সন্তান। মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত আমার বাবা এখানকার মানুষের দু:খ-দুর্দশা কথা চিন্তা করতো। তিনি এই জনপদের মানুষকে পরিচিত লাভ করতে এবং তাদের সন্তানদের আদর্শিক সুনাগরিক ও সুশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
চেয়ায়ম্যান প্রার্থী আরও বলেন,সমাজে পিছিয়ে থাকা ইসলাম নগরের জনপদসহ ৯টি ওয়ার্ডকে অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সাজানো হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন ধরণের বৈষম্য করা হবে না। ইউনিয়নের মানুষের দূরগোড়ায় শতভাগ সেবা নিশ্চিতে যা যা করণীয় তা নিরুপণ করে সেবা দেওয়া হবে। তিনি মাদক ও সস্ত্রাস মুক্ত একটি মডেল ইউনিয়ন উপহার দিতে এবারের নির্বাচনে কৈয়ারবিলবাসীকে তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার জন্য আহবান জানান।
উঠান সভায় বিভিন্ন বক্তারা বলেছেন, নির্বাচনে শুধুমাত্র অংশ নিয়েছেন আফজল চৌধুরী। এখনো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়নি, তিনি চেয়ায়ম্যান নির্বাচিত হওয়ার পূর্বেই ইতিমধ্যে কৈয়ারবিলের জনসাধারণকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে ও গরীব কৃষকদের তাদের ক্ষেতের ফসলি ফলন বাঁচাতে মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের বরাদ্দ হাতে নিয়েছেন। শিঘ্র্রই দেশের আপমর জনসাধারণ ওই কাজের আলোর মুখ দেখতে পারবেন। কৈয়ারবিল জনপদের মানুষ তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেলে নয়টি ওয়ার্ডের সম্পূর্ণ চিত্র পাল্টে যাবে। তার নিষ্টা, সততা, কর্মদক্ষতা যাচাই করে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সঠিক কাজে সাহসী ভুমিকার জন্য কৈয়ারবিলের ভোটারগন তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।