এম.এ আজিজ রাসেল:
পৌরসভার কাউন্সিলর সালাহ উদ্দীন সেতুর সাথে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সংঘটিত ঘটনায় তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। অপরদিকে উখিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নেছার সাথে চিকিৎসক মিশুর ঘটনা থাকায় হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার ৫ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত এক রুদ্ধদার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈঠকে দু’পক্ষের বক্তব্যে সেতু নির্দোষ প্রমাণিত হন। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন হাসপাতালের সেই কর্মচারী। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে অন্যত্র বদলী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ। কাউন্সিলর সেতুর ঘটনার একদিন পরই গত ৩ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতে এক চিকিৎসকের সাথে উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস—চেয়ারম্যানের বাকবিতন্ডা হয়। এই দুই ঘটনায় সদর হাসপাতালের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কর্মবিরতিতে যায় চিকিৎসকরা।
বৈঠক শেষে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে ব্রিফিং করেন সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, চিকিৎসা সেবায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সারা দেশে ২য় পুরস্কার পেয়েছে। এটি জেলাবাসীর গৌরব। কিন্তু কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হাসপাতালের এই অর্জনকে ম্লান করতে পারে না। তাই
কক্সবাজার পৌর সভার ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাহ উদ্দীন সেতু সদর হাসপাতালে লাঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। এ জন্য আমরা অভিযুক্ত কর্মচারি ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এছাড়া উখিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান বেবির সাথে সংঘঠিত ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সদর হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দেবে। এতে তদন্তে যারা অভিযুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন আদালত। এই সিদ্ধান্ত শুনার পর কর্মবিরতিতে থাকা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যায়।
অপরদিকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উখিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নেছা বেবি। তিনিও আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন। বৈঠকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোমিনুর রহমান, গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।