নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকের কালাগাজীর পাড়ায় দুই ভাইয়ের হাতে নিষ্ঠুর হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে বিছানায় কাতরাচ্ছেন মোঃ মোমেন সাঈদ নামের এক যুবক। তাকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করেছে ভাইয়েরা।
গত শুক্রবার (১০ ফেব্রæয়ারি) দুপুরের এই ঘটনা ঘটে।
ভাইদের হাত থেকে তাঁকে বাঁচাতে গেলে তার মা মরিয়ম খাতুনও ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছে। মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় থাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মোমেন সাঈদ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার শিকার মোমেন সাঈদ অভিযোগ করেছেন, তার দুই বড়ভাই মৌলানা হুমায়ুন সাঈদ (৩৫) ও ছোট ভাই মৌলানা হারুন সাঈদ (২৭) যৌথ পরিবারে থাকলেও তাদের আয় করা কোনো টাকা বাড়িতে দেয় না। আমি বাড়ির কাজকর্ম করে আয় করে পরিবার চালাতাম। এর প্রতিবাদ করলে তাদের আমার সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে রাগ করে দীর্ঘদিন আমি বাড়িতে যাইনি। সম্প্রতি আমি বিয়ে করে বাড়ি উঠি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মৌলানা হুমায়ুন সাঈদ ও ছোট ভাই মৌলানা হারুন সাঈদ আমাকে নির্মমভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। এসময় আমার মা বাঁচাতে আসলে তিনিও ছুরিকাঘাতের শিকার হন। এসময় মোমেন সাঈদের স্ত্রীকেও মারধর করা হয়ে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলানা হুমায়ুন সাঈদ ও ছোট ভাই মৌলানা হারুন সাঈদ দুইভাই মিলে মোমেন সাঈদও তার মাকে নির্মমভাবে আঘাত করে। প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদের সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। একদিন পর অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হওয়া মা মরিয়ম খাতুনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে দুইজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মা ও ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও এখনো মৌলানা হুমায়ুন সাঈদ ও ছোট ভাই মৌলানা হারুন সাঈদ তাদের দেখতে হাসপাতালে যায়নি। এমনকি কোনো খোঁজ-খবরও নেননি। হামলাকারী দুইভাইয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মোমেন সাঈদ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।