সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক রূপসী গ্রাম পত্রিকায় “এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “কুতুব” এর দুর্নীতি-অনিয়মের আদ্যোপান্ত” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন।
তিনি বলেন, সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিদ্যালয়কে সভাপতি নুরুল আমিন সিকদারের পারিবারিক সম্পদ হিসেবে ব্যবহারের একটি অপকৌশলমাত্র।
সংবাদে স্কুলের মানহানি করেছে।
সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সহকারি শিক্ষক কুলসুম ডালিয়া, মোশারেফা আকতার, ফরিদা ইয়াসমিন, ফাতেমা আকতার, নুরুল আমিন, নুরুল আলম, অফিস সহকারী আবু তাহের।
প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন বলেন, সভাপতির নির্ধারিত দোকান থেকে অধিকমূল্যে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের জিনিসপত্র কিনতে বাধ্য করছেন।
মানযাচাই করে ভিন্ন দোকান থেকে কোন দ্রব্য ক্রয় করলে হুমকী দেন।
প্রধান শিক্ষক হিসেবে কোন মতামত তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিদ্যালয় বাউন্ডারীতে দোকান ঘর নির্মাণ করে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে চাচ্ছেন সভাপতি নিজেই।
নিজের মতো বিদ্যালয় পরিচালনা করতে চান সভাপতি। যা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা বহির্ভূত। সভাপতি কোনভাবে প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। যার দায়িত্ব সেই পালন করবেন। এসবে কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছাপানো হয়েছে।
বাজেটের চেয়ে অধিক টাকা ব্যয় দেখিয়ে তার বরাবরে চেক সই করে লিখে দিতে বাধ্য করেন। চেক দিতে বিলম্ব করলে হুমকী দেন। পরে রহস্যজনক কারণে চেক ফেরত প্রদান বিদ্যালয়ে তাঁর স্ত্রী ও অনুগত বন্ধু শিক্ষকের প্রতি একনীতি এবং অপর শিক্ষগণের প্রতি কঠোর নীতি অবলম্বন করে বিদ্যালয়ে তার মতো পরিচালনা করতে চান।
বিদ্যালয়ে আন্ত: প্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে চাইলে সরাসরি এখন করা যাবে না বলে মতামত দেয়। যা সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন করার কথা উল্লেখ আছে। ২০২২ খ্রীস্টাব্দে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন ফি ছাড়া পরীক্ষা নেয়ার কথা উল্লেখ আছে যা পরবর্তী অর্থাৎ ২০২২-২০২৩ অর্থ বৎসরের স্লীপ গ্রান্ড থেকে ব্যয় মেটানোর কথা। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফটোকপি এবং যাবতীয় আনুসঙ্গিক ব্যয় এর জন্য শিক্ষকগণ বাজেট প্রণয়ন করে সভাপতি বরাবরে গেলে স্লীপ একাউন্টের চেক দিতে বলে পরবর্তীতে টাকা না পেয়ে সহকারি শিক্ষকের নিজ পকেট থেকে ১০০০/- টাকা এবং বাকী টাকা প্রধান শিক্ষক দিয়ে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা চালিয়ে নেয়। শেষ কথা হলো, বিভিন্ন অপকৌশলে ক’জন সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করে উলুবনিয়া জামাল সখিনা বিদ্যালয় হতে তার ভাইকে বদলী করে অত্র বিদ্যালয়ে এনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় চালিয়ে উন্নয়নমূলক কাজে সরকার প্রদত্ত যাবতীয় অর্থ বিনা ভাউচারে লুটপাট করে খাওয়া এবং দোকানঘর নির্মাণ করে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা। আমি এর বিরোধিতা করায় আমার বিরুদ্ধে এহেন ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রনোদিত অভিযোগ করেছেন।
কোন ধরণের তদন্ত না করে প্রকাশিত সংবাদে আমরা বিস্মিত।
এটি প্রধান শিক্ষককে অপসারণের একটি অপকৌশল মাত্র।
প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। উক্ত সংবাদে বিভ্রান্ত না হতে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।