মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। ভোট গ্রহণের জন্য সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও রেওয়াজ ধরে রাখতে কমিশনের আচরণ বিধি মেনে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে কমিশন সকল ভোটারদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে সিবিএন এর সাথে এক সাক্ষাতকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কক্সবাজার আইন কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকের এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, কক্সবাজার আইনজীবী সমিতি ভবন ভোটকেন্দ্রে এবার ভোট গ্রহণ করা হবে মূল ভবনের নীচ তলায়। ২ লাইনে ২০ টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ভোটারদের লাইনে দাঁড়ানো এবং অপেক্ষা করার জন্য আইনজীবী সমিতি ভবনের বাইরে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। সমিতির মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় মসজিদ সম্প্রসারণ ও সম্মেলন কক্ষ নির্মাণ করায় এবার দ্বিতীয় তলায় ভোট গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান-প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকের।
২ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে কমিশনারদের সহায়তা করার জন্য সহায়ক জনবল হিসাবে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সকল স্টাফদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান-প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বাকের। তিনি সম্মানিত ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় ক্যামেরা, মোবাইল সহ সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস পরিহার করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির শনিবার নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৮৫৪ জন। তারমধ্যে, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হবে ৭৮৬ জনের। চকরিয়া উপজেলা চৌকি আইনজীবী সমিতি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হবে ৬৮ জনের। আজ শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার পৃথক ২ টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহন করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নুর আহমদ-২ জানান, চকরিয়া উপজেলা চৌকি আইনজীবী সমিতি ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে তাঁরা শুক্রবার দিনেই চকরিয়া গিয়ে সেখানকার বাকী সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ব্যালট, ব্যালট বাক্স সহ ভোট গ্রহণের প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম মজুদ রেখেছেন। তিনি আরো জানান, চকরিয়া ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ৬৬ জন।
এ নির্বাচনে প্রতি বারের মতই এবারো দু’টি প্যানেল যথারীতি নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। দু’টি প্যানেলের একটি হচ্ছে-সরকার সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত এডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল ও এডভোকেট মোহাম্মদ তারেক পরিষদ এবং অপরটি বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা আইনজীবী সমর্থিত জাতীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম-৪ ও অ্যাডভোকেট তাহের আহমদ সিকদার পরিষদ।
উভয় প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে আইনজীবীদের কল্যান তহবিল (পেনশন) এর অর্থ সহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি, বর্তমান আদালত ভবন এলাকায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণের জন্য জায়গার ব্যবস্থা করা, চিকিৎসা তহবিল গঠন, চেম্বার সংকট নিরসনে আরো ২ টি নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ, নির্মাণাধীন এনেক্স ভবনের বাকী থাকা উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন করা, কক্সবাজার জুডিশিয়ারিকে ‘বি’ গ্রেড থেকে ‘এ’ গ্রেডে উন্নতকরণ, আইনজীবী ভবনে প্রসস্থ মসজিদ নির্মাণ, বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, বেঞ্চে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া, নবীন আইনজীবীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, আদালত এলাকা থেকে টাউট বাটপার নির্মুলে ভিজিল্যান্স টিমের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করা, বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে আদালত এলাকায় বিদ্যুতের সাব স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া, বার লাইব্রেরীকে আরো সমৃদ্ধ করা, আইনজীবী হেল্প ডেস্ক স্থাপন, মহিলা আইনজীবীদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান, বাণিজ্যিক ব্যাংকের বুথ স্থাপন, আইনজীবীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, আইনজীবীদের মর্যাদা সুরক্ষা করে পেশার মান বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া সহ আইনজীবীদের কল্যানে আরো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। প্রার্থীরা ভোটারদের আশ্বস্ত করেছেন, সমিতির পক্ষ হতে আইনজীবীদের মৌলিক ও ন্যায্য সকল অধিকার পূরণের।
দুই প্যানেলের প্রত্যেকে নিজ নিজ প্যানেল জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সরকার সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত প্রার্থীরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদেরকে আবারো নির্বাচিত করার আবেদন করেছেন। তারা নির্বাচিত হলে সরকারী সহায়তা অপেক্ষাকৃত বেশী পাবেন, এমনটি ভোটারদের মাঝে তুলে ধরে বিজ্ঞ আইনজীবীদের ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে, জাতীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত প্রার্থীরা আইনজীবীদের মর্যাদা সুরক্ষা, প্রভাবমুক্ত ও সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, বার ও বেঞ্চের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূরকরণ, বেঞ্চের দুর্নীতি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া, কক্সবাজার জেলা আইনঙ্গনে সামগ্রিক পরিবর্তন সহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন ভোটারদের মাঝে। এভাবে উভয় প্যানেল তাঁদের প্রচারণায় প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন, এমন বিশেষজ্ঞদের মতে, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচন হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তীব্র। ন্যুনতম ভোটের ব্যাবধানে জয় পরাজয় নির্ধারিত হবে বলে তাদের ধারণা। উভয় প্যানেলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি হতে পারে। নির্বাচনে কোন প্যানেলই একক নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠিতা পাবেনা বলে পর্যবেক্ষক ও নিরপেক্ষ সিনিয়র আইনজীবীদের ধারণা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারী মনোনয়নপত্র দাখিল করে উৎসবমুখর ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা দীর্ঘ নয় দিন। ২ প্যানেলের ৩৪ জন প্রার্থীই ক্যাম্পিং ও সরব প্রচারণা শেষে এখন ভোট কেন্দ্রমুখী হয়েছেন। কক্সবাজারের বাইরে অবস্থান করা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার চেষ্টা করছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল, ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী ও সমমনা আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্যানেলে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁরা হলেন-সভাপতি পদে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কক্সবাজার বার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম-৪, সাধারণ সম্পাদক পদে কারা নির্যাতিত ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আইনজীবী হিসাবে পরিচিত অ্যাডভোকেট তাহের আহমদ সিকদার, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কাসেম আলী, সহ সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, সহ সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম টিপু, পাঠাগার ও তথ্য, প্রযুক্তি সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহীন, আপ্যায়ন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট শেফাউল করিম রানা, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের নির্বাহী সদস্যের ৫ টি পদে অ্যাডভোকেট দিল মোহাম্মদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আমির হোছাইন-২, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-১ এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার। নবীন আইনজীবীদের নির্বাহী সদস্যের পদ ৪ টি পদে অ্যাডভোকেট এম.এম ইমরুল শরীফ, অ্যাডভোকেট শওকত ওসমান-২, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম-৪ এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
অপরদিকে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও সরকার সমর্থক মহাজোট সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন-সভাপতি পদে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির তিন বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ তারেক, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে এডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া-১, সহ সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, সহ সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) পদে অ্যাডভোকেট এডভোকেট নুরুল ইসলাম সায়েম, সহ সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) পদে অ্যাডভোকেট মো: আকতার হোসেন, পাঠাগার ও তথ্য, প্রযুক্তি সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মোঃ মহিউদ্দিন, আপ্যায়ন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের নির্বাহী সদস্যের ৫ টি পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক-১, অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব নুরুল আমিন, অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আববাস উদ্দিন চৌধুরী, নবীন আইনজীবীদের ৪ টি নির্বাহী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট টুলটুল পাল, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফেরদাউস আলম ও অ্যাডভোকেট মীর কায়েস উদ্দিন।
সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অ্যাডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল ২০০০ সালের ৯ মে এবং একই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক ২০০২ সালের ২০ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন।
আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম-৪ ১৯৯৮ সালের ২১ মার্চ এবং একই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অ্যাডভোকেট তাহের আহমদ সিকদার ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন।
এদিকে, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির শনিবার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ৮৫৪ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে, চকরিয়া ও কুতুবদিয়া আদালতে কর্মরত আইনজীবীদের নিয়ে ৬৮ জন আইনজীবী নিয়ে প্রকাশিত একটি ভোটার তালিকার ভোট গ্রহন করা হবে চকরিয়া উপজেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে। ৭৮৬ জন আইনজীবী নিয়ে অপর একটি পৃথক ভোটার তালিকায় ভোট গ্রহন করা হবে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির মূল ভবনের দু’তলায়। দু’টি ভোট কেন্দ্রে একই সাথে শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন করা হবে।
নির্বাচনে সিনিয়র আইনজীবী প্রিন্সিপাল অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকের-প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফেরদাউস ও অ্যাডভোকেট নুর উল আলম-কে সহকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ-৪, অ্যাডভোকেট ফরিদ আহামদ, অ্যাডভোকেট নুর আহমদ-২, অ্যাডভোকেট আবু ছিদ্দিক এবং অ্যাডভোকেট সিরাজ উল্লাহ কমিশনার হিসাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করছেন।
তারমধ্যে, সহকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নুর উল আলম এবং নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নুর আহমদ-২ চকরিয়া উপজেলা আইনজীবী সমিতির ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রিন্সিপাল অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকের জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, শনিবার ভোট গ্রহণ করতে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকের নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সকল প্রার্থী, সমর্থক, ভোটারদের অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও সাবলীলভাবে সম্পন্ন করতে সম্মানিত ভোটার সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
