বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল মনুপাড়ায় আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকার মরহুম ছৈয়দ উল্লাহর পুত্র ছৈয়দুল হক গং আইনবিরোধী এই কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, খুরুশকুল মৌজার সৃজিত বি.এস ৭৪০৫, বি.এস দাগ নং— ১৫০৬৩ দাগের ১০ (দশ) শতক জমি খালেদা বেগম তার স্বামী আমানুল হক আমান এর নামে বি.এস খতিয়ান চূড়ান্ত প্রচার আছে। জমির খাজনা আদায় পূর্বক বিভিন্ন ফলজ বনজ গাছ রোপন করে খালেদা বেগমের পরিবার দীর্ঘদিন যাবত জমিতে শান্তিপূর্ণ ভোগদখল করে আসছে। ছেলে—মেয়েদের লেখা পড়ার সুবিধার্থে আমরা কক্সবাজার পৌরসভার উত্তর রুমালিয়ারছড়ায় পৈত্রিক বাড়ীতে বসবাস করছি। কিন্তু সম্প্রতি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই জমির প্রতি লুলোপ দৃষ্টি পড়ে মনুপাড়ার ছৈয়দুল হক, বুলবুল আকতার, জকরিয়া, আলমগীর, ইয়াহিয়া, বাবুল, আরাফাত, কায়সার গংয়ের। যার অংশ হিসেবে তারা জমি দখলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় দখলবাজ চক্র দা, কিরিচ, লাঠি, লোহার রডসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা করলে সেখানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে যেকোন মুহুর্তে তারা আবারও জমি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করছে। তাই খালেদা বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিরোধীয় জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে।
কিন্তু বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কতৃর্ক জারিকৃত ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিরোধীয় ওই জমিতে ছৈয়দুল হক গং সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে আসছে। এতে যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা রয়েছে। এই দখলবাজ চক্রের অপতৎপরতা থেকে রেহায় পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।