আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার):
কক্সবাজারের আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় থাকা ৫ শতাধিক রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই শেষে ফিরে গেছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল।
বুধবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে ট্রলারে করে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন প্রতিনিধি দলটি। এর আগে এই জেটি দিয়ে ১৫ মার্চ মিয়ানমারের ১৭ সদস্যর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসেন।
প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মায়োউ।
বুধবার সকালে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল ফিরে গেছে জানিয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) খলিদ হোসেন বলেন,
‘৭ দিন ৫শতাধিক রোহিঙ্গার সাক্ষাত শেষে তারা মিয়ানমারে ফিরে গেছেন। যে কাজের জন্য তারা এসেছিলেন সেটি সম্পন্ন করেছেন। প্রতিনিধি দলটি তাদের কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানাবে।’
আরআরআরসি কার্যালয় জানায়, সর্বশেষ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) টেকনাফের জাদিমুড়া ও লেদা ক্যাম্পের ১৭ পরিবারের ৪৪ জন রোহিঙ্গা সাক্ষাৎ নেওয়া হয়। এর আগে সোমবার ২১ পরিবারের ৮৬, গত রবিবার ২৬টি পরিবারের ৭০ জন, গত শনিবার ২৩টি পরিবারের ৬০ জন, গত শুক্রবার ১৬টি পরিবারের ৭০ জন, গত বৃহস্পতিবার ২৩টি পরিবারের ৭০ জন এবং গত বুধবার ২৩ পরিবারের ৯০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাতকার গ্রহণ এবং তথ্য যাচাই করা হয়। সব মিলিয়ে গত সাত দিনে তথ্য যাচাই হয়েছে ১৪৭টি পরিবারের ৫শতাধিক রোহিঙ্গার।
টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা জাফর আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রায় একই রকমের বিষয় জানতে চাওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে সাক্ষাতকার প্রার্থীর বাড়ি রাখাইনের কোন গ্রামে ছিল, সেখানকার মেম্বার-চেয়ারম্যান কে ছিলেন, সমাজের সরদার কে ছিলেন, সেখানে থাকতে কতজন সন্তান ছিল, বাংলাদেশে আসার পর কতজন ছেলেমেয়ে জন্ম নিয়েছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আর এখানে (বাংলাদেশে) থাকতে চায় না। আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু এভাবে যেতে চাই আর যাতে ফিরতে না হয়। এখনই প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে না। আলোচনা হলে আমরা দাবিগুলো তুলে ধরবো। সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি ।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।