আব্দুস সালাম, টেকনাফ (কক্সবাজার):
কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার চরের নাফনদীতে ২৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে এক জেলে বড়শিতে। মাছটি টেকনাফ পৌরসভার মাছ বাজারে ২৬ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন ভাই ভাই ফিশিং আড়তের মালিক মোহাম্মদ আমিন।
রবিবার (২৬মার্চ) বিকেলে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার চর এলাকার জেলে আবুল ফয়েজের বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে। কোরাল মাছটির ওজন ২৫ কেজি ২০০ গ্রাম। পরে মাছটি শাহপরীরদ্বীপের দক্ষিণ পাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জলালের কাছে বিক্রি করে দেন।
জেলে আবুল ফয়েজ বলেন, কয়েক দিন ধরে নাফনদীতে জেলেদের বড়শিতে বড় বড় কোরাল মাছ ধরা পড়ছে। ২৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছটি ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি ।
মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জলাল বলেন, টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন মাছ বাজারে নিয়ে মাছটি প্রতি কেজি ১২ শত টাকা দামে বিক্রি করার জন্য দাম দিয়ে ছিলাম। পরে মাছটি টেকনাফ পৌরসভার ভাই ভাই ফিশিং আড়তের মালিক মোহাম্মদ আমিনকে কেজি ১১ শত টাকা দামে ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি ।
জেলে আবুল ফয়েজ বলেন, প্রায় ৬ বছর ধরে নাফনদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার চরে বসে নাফনদীতে সকালে বড়শি ফেলেন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট পর তিনি বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড়শি বেশ ভারি মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা নেন।
পরে বড়শি টেনে তুলে দেখেন, একটি কোরাল মাছ আটকা পড়েছে। মাছটির ওজন ছিল ২৫ কেজির মতো। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখতে স্থানীয় লোকজন ঘোলার চরে ভিড় করেন।
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোরাল দ্রুত বর্ধনশীল মাছ। পরিবেশ ভালো পেলে মাছটি সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। কোনো কোনো সময় এর বেশি ওজনের কোরালও পাওয়া যায়। এই নদীর মাছ খুবই সুস্বাদু। তাই জেলেরা দামও ভালো পেয়ে থাকেন।
প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।