– মাহ্ফুজুল হক

 

সময়ের পরিক্রমায় পবিত্র রমযানুল মোবারক মুসলিম জাহানে এলো আবার যথারীতি বিদায়ও নিলো। পবিত্র রমজান আমাদের মাঝে এসেছিলো কল্যাণের বারতা নিয়ে, ক্ষমার অঙ্গীকার নিয়ে, মুক্তির ডালা সাজিয়ে, শয়তানকে জিঞ্ছিরাবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে শয়তানি শক্তি ও তার চেলা চামুণ্ডাদের অপতৎপরতা নস্যাৎ ও ধূলিসাৎ করার আবাহন দিয়ে, মিথ্যা, প্রবঞ্চনা, পরচর্চা প্রভৃতির মতো সমাজ বিধ্বংসী দুরাচার থেকে স্বস্তির অনন্ত আশা নিয়ে, ষড়রিপুর তাড়না ও নফ্সের খায়েশকে জয় করে মানবতাকে সমুন্নত করার দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা নিয়ে, মানুষের উপর মানুষের প্রভূত্বকে, যা সকল অনাচার ও হানাহানির উৎস, খতম করে সর্বত্র বিশ্বস্রষ্টা ও পরিচালক, মহাপ্রভু, রাজাধিরাজ আল্লাহ্ সোবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রভুত্ব, সার্বভৌমত্ব ও একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। আমরা জানি, ‘তাকওয়া’ এমন একটি বিশেষণের নাম যা মানুষ আতœস্থ করলে, সমাজ তথা রাষ্ট্র তাতে শোভিত হলে যাবতীয় অরাজকতা, অবিচার, জুলুম, অর্থনৈতিক বৈষম্য, মানুষে মানুষে হানাহানি প্রভৃতি বিদূরিত হয়। এই মাটির ধরায় স্বর্গীয় সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য বিরাজ করে, মানবতা ফুলে ফলে বিকশিত হয়, সুশোভিত হয়।

বহুবিধ শুভ বার্তা, শুভাকাঙক্ষা আর অনেক ঘটনার জন্ম দিয়ে রমজান আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছে। ৩৫৫ দিনের চান্দ্র বর্ষের সর্বোত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট একটি মাসকে আমরা বিদায় দিয়েছি নিজেদের বিবেককে পরিপূর্ণ আতœতুষ্টির নিশ্চয়তা না দিয়ে, রোজা, নামাজ, সাহরি, ইফতার, তারাবিহ্, কোরআন তেলাওয়াত, নফল ইবাদাত, দান সদাকাহ্ ইত্যাদির যথোচিত দাবি পূরণ না করে, ‘রমযানের পবিত্রতা রক্ষা করা’র মুখরোচক, অন্তসারশূর্ণ্য, কপট ও স্লোগান সর্বস্ব বুলি আউড়িয়ে, দ্রব্যমূল্য না বাড়ানো ও বাড়তে না দেবার লোক দেখানো হম্বিতম্বি ও প্রতারণামূলক প্রচারণা চালিয়ে, দ্রব্যমূল্য বল্গাহীনভাবে বাড়িয়ে রোজাদার তথা মানুষের দুঃখ কষ্টকে কয়েক ধাপ বৃদ্ধি করে, পুরো রমযানে বিশেষ করে সাহরি, ইফতার ও তারাবিহ্ নামাজের সময় নিশ্চিত বিদ্যুৎ সরবরাহের আশার বাণী শুনিয়ে (ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন, আশাহত করার মতো নিত্য নৈমিত্তিক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ভেল্কিবাজির কথা), দিনের বেলা প্রকাশ্যে পানাহার বর্জন করত সিয়াম পালনকারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানোর তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জনবহুল পথে- ঘাটে প্রকাশ্য পানাহারের মচ্ছব চালিয়ে, রোজা অবস্থায় মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা, পরনিন্দা করা ইত্যাদি অপরাধমূলক তৎপরতা থেকে নিজে ও জাতীয়ভাবে সকলে পরহেজ করার মাধ্যমে সুন্দর ও সাবলীল সমাজ প্রতিষ্ঠার বহু কাঙ্ক্ষিত ইচ্ছাকে দলিত মথিত করে আমরা ’আল বিদা’ বলেছি পবিত্র রমযানকে। বিদায় মাহে রমজান।

পবিত্র রমযানে বহুগুণে বৃদ্ধি পাওয়া একনিষ্ঠ ইবাদাতের কারণে একজন পাপচারী যখন নিজেকে ভারমুক্ত ভাবে, হালকা মনে করে, হৃদয় মনে প্রশান্তির সুবাতাস বয়ে যায়, তখন সে অনুভব করে এক অনাবিল, অপার্থিব ও স্বর্গীয় সুখানুভূতি। আর তা যখন জনে জনে বহুজনে ছড়িয়ে যায়, এক বিরাট জনগোষ্ঠী যখন তা পেয়ে পরম তৃপ্ত হয়, আহা ! আমরা যদি সেরূপ একটি হৃদয় আপ্লুতকারি পরিবেশ অনুভব করতে পারি ! কল্পনা করতে তো আর বাধা নেই। রমজান সে অনন্য সুযোগ আমাদের দিয়েছে। ’লাইলাতুল ক্বদর’ এর মতো মহামহিমান্বিত রজণী যার মর্যাদা ও সৌভাগ্য লাভ করা মানে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া, মহামূল্য মণি’র মালিক হয়ে যাওয়া, মহাপ্রভু আল্লাহ রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নেওয়া, বেহেশ্তি অফুরন্ত সুখের পরশ গায়ে মেখে পরম সৌভাগ্যবান হয়ে যাওয়া। হাজার মাসের চাইতেও উত্তম মানে গণনা করে কত মাস, কত দিন, কত রাত তা নির্ধারণ করা নয় বরং অনেক, বহু, অনন্ত, অনিঃশেষিত যা সীমা সংখ্যাহীন। যা চাই, যত পরিমাণে চাই, যেভাবে চাই – এই অনন্ত চাওয়াকে (চাহিদা) পরিপূর্ণ তুষ্টিসহকারে পূরণ করতে পারেন এক এবং একমাত্র স্রষ্টা ও বিশ্ব এবং সৃষ্টি নিয়ন্তা আল্লাহ্ সোবহানাহু ওয়া তায়ালা। বলা হয়, তাঁর পুরস্কার এত বিশাল ও দিগন্তব্যাপী যে, তা আকাশ ও জমীনসম বা তদপেক্ষা বি¯তৃত। এমন দিগন্ত প্রসারি উপঢৌকন সদৃশ সৌভাগ্যের ডালা সাজিয়ে রাখা হয়েছে ক্বদর রাত্রিতে। দুর্ভাগ্য আমাদের, তাকে পাওয়ার, তার রঙে নিজেকে রাঙাবার, তার রূপ ও রসে নিজেরা পুষ্ট হওয়ার এতটুকু তৎপরতাও আমরা দেখাতে পারি না। যদি বলি, ঐ বিশেষ রাত্রের আবার রং কী, রূপ কী, রস কী, তাতে রাঙাবার, রূপ লাভ করবার বা পুষ্ট হওয়ার ধরণইবা কী। মহান স্রষ্টা স্বয়ং ঘোষণা করেছেন, ’নিশ্চয় আমি একে (আল কোরআন) ক্বদর রাত্রে নাজিল করেছি।’ ’নিশ্চয় একে এক বরকতময় রাত্রে অবতীর্ণ করেছি।’ ’রমজান মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে যা মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক এবং তা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণকারী।’ লাইলাতুল ক্বদরের ফজিলত হাসিল করার গূঢ়ার্থ হলো আল কোরআনের রঙে নিজেকে রাঙানো, আল কোরআনের আলোকে স্বীয় জীবন গড়া, সর্বস্তরে কোরআন অনুসরণে জীবন যাপন করা, কোন অবস্থাতেই এবং কোনোভাবেই কোরআনের বিরুদ্ধাচরণ না করা। যদি কেউ ভেবে থাকেন যে, আজীবন আল কোরআন তথা ইসলাম বিরোধিতায় জীবন কাটিয়ে শেষ বয়সে ক্বদর রাত্রিতে হৃদয় মন উজাড় করে দিয়ে ইবাদাত বন্দেগি করার মাধ্যমে দুনিয়া আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণ ও সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে যাবেন, তিনি প্রকৃতই বোকার স্বর্গে বাস করছেন। জীবনভর আল্লাহ্ বিরোধিতা, খোদাবিমুখতা, কোরআনকে তুচ্ছ জ্ঞান, কোরআন বিরোধিতাকে প্রগতিশীল মনে করে এর প্রতিটি বাণী, আদেশ নিষেধকে অবজ্ঞা, উপেক্ষা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে এসেছেন – তার জন্যই কি আল্লাহ্ তায়ালা এই রাত্রে সৌভাগ্যের ডালা সাজিয়েছেন? নিশ্চয় নয়, অবশ্যই নয়, কক্ষনো নয়। তবে হ্যাঁ, তাকে ফিরে আসতে হবে বিভ্রান্তির অতল থেকে, তথাকথিত ইসলাম বিরোধিতার নামে প্রগতিশীলতার কপট মুখোশ তাকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে, ধর্মনিরপেক্ষতার ছদ্মাবরণে ইসলাম বিরোধিতা তাকে চিরতরে পরিহার করতে হবে, ইসলাম প্রিয় ও ইসলাম প্রতিষ্ঠাকামীদের বিরোধিতা নয় বরং তাঁদের সম্মান ও অনুসরণ করার দৃঢ় শপথ নিতে হবে। আল কোরআন, ইসলাম, মুসলমান ইত্যাদি শব্দগুলো শুনলে যাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়, রক্ত মাথায় চড়ে যায়, বিরক্তি ও খিস্তি খেউড় করে বেড়ায় ; মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, ব্যাকডেটেড, সাম্প্রদায়িক, ফতোয়াবাজ বলতে বলতে মুখে ফেনা ওঠে – তাদের জন্য এই মহিমান্বিত রাতে এতটুকুও স্বস্তির সংবাদ নেই, নেই কোন ধরনের আশার বাণী। এহেন প্রকৃতির লোকগুলো মহাজ্ঞানী আল্লাহ্ সোবহানাহু ওয়া তায়ালাকে একেবারে বে’অকুব (নাউজুবিল্লাহ্) ভাবে। সারা বছর ইসলামের গোড়া কাটে আর রমজান, লাইলাতুল ক্বদর এই জাতীয় শূভক্ষণগুলোকে টুপি, পাঞ্ছাবি, আতর, জায়নামাজ, হালুয়া রুটি, তসবিহ্ দানা, কপট দান সদাকাহ্ ইত্যাদি পোশাকি ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ্কে রাজী করিয়ে ফেলার অসম্ভব এক নাটিকার জন্ম দেয় আর আতœতৃপ্তির ঢেকুর তোলে – সব গুনাহ মাফ করিয়ে নিয়েছি, এখন আমি মুক্ত, পবিত্র ! পরবর্তী দিনগুলোতে ইসলামের বারোটা নয় তেরোটা বাজালেও কোন ক্ষতি নেই। আতœ প্রবঞ্চনা ও আতœ শ্লাঘা আর কাকে বলে!

রমজান এলো সাথে মুসলিম জাহানে নিয়ে এলো এক অভাবিত পরিবর্তন। রাতারাতি যেন মানুষ প্রচন্ড রকম ধর্মপরায়ণ হয়ে গেলো। মসজিদগুলো মুসল্লিতে ভরপুর হয়ে উঠলো। সবচেয়ে কঠিন যে নামাজ, ফজর নামাজ, তার বেলায়ও মসজিদে ভিড় দেখা গেলো। রমযানের অন্যতম বিশেষত্ব হলো তারাবিহ্ নামাজ। মুসল্লিদের দলে দলে তারাব্েিত যোগ দেয়ার আলাদা একটা তোড়জোড় চোখে পড়ার মতো। লম্বা নামাজ তার উপর তেলাওয়াতে খতমে কোরআন। দিনভর উপবাস থেকে শরীর মন এমনিতেই ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। কিন্তু তারপরও রোজাদার সদলবলে মসজিদে এশা, তারাবিহ্ পড়ার জন্য ভিড় করেন। এ উপলক্ষে মসজিদগুলোতে শিশু কিশোরদের সরব উপস্থিতি বেশ দৃষ্টগ্রাহ্য। জুমার নামাজের সময় তো মসজিদে মসজিদে ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা। জুমার পর শহরজুড়ে টুপি পড়া হাজারো মানুষের পদচারণা বিশাল মিছিলের রূপ যেন। ভোর রাত্রে সাহরি খাওয়ার জন্য মানুষকে ঘুম থেকে জাগানোর বিশেষ ব্যবস্থা প্রায় সর্বত্র। সাইরেন বাজানো, মসজিদের মাইকযোগে উচ্চস্বরে ডাকা, মহল্লায় মহল্লায় ’জাগো মুসলমান ঘুমাইও না আর …. ’ ইত্যাদি বিভিন্ন শ্লোক কোরাসের ভঙ্গিমায় গেয়ে দল বেঁধে রোজাদারদের ঘুম থেকে জাগানোর আয়োজন, ঘরে ঘরে ঘড়িতে বা সেল ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে রাখা ইত্যাদি শুধুই রমযানের জন্য। আর ইফতার, সে তো অনন্য। ঘরে ঘরে মজাদার, মুখরোচক, সুস্বাদু সব খাবারের আয়োজন। বাঙালি ইফতারে যত আইটেমই থাকুক না কেন, চনা পিঁয়াজু সেখানে অতিআবশ্যকীয় মেনু তো বটেই। বিভিন্ন প্রকারের শরবত, হালিম, খেজুর, শসা, খিরা ইত্যাদি বিশেষভাবে যেন ইফতারেরই মেনু। ঘরে ঘরে ইফতার চালাচালি আজ মুসলমানদের ঐতিহ্যের অংশে পরিণত। দিকে দিকে ইফতার মাহফিল, ইফতার পার্টি ইত্যাদি এখন একটি কালচারে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইফতার পার্টির আয়োজন করে। দাওয়াত পত্র ছাপিয়ে নিমন্ত্রণ করে এনে তারা রোজাদারদের ইফতার করাচ্ছেন। অবশ্য পার্টিতে ইফতার পূর্ব আলোচনায় নিজেদের একান্ত কথাগুলো উপস্থিত অভ্যাগতদের শোনাতে এতটুকু ভুল করছেন না। বলা যায়, রমজান মাসে তাদের কর্মকাণ্ড ইফতার মাহফিল কেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। এ মাসে দান সদাকাহ্ করতে মানুষকে বেশ আগ্রহী দেখা যায়। গরিব আতœীয় স্বজনদের মাঝে বিতরণ করা ছাড়াও স্বচ্ছলদের মধ্যে আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে উপহার সামগ্রী বিশেষ করে জামাকাপড় বিনিময় করতে দেখা যায়। মুসলমানগন এমাসকে যাকাত আদায়ের সর্বোত্তম সময় বিবেচনা করে তা আদায়ে সচেষ্ট হন। অবশ্য কিছু তথাকথিত দানশীল যাকাতের কাপড় বিতরণ নামীয় আতœ প্রচারণার কৌশলরূপে অতি সস্তা শাড়ি, লুঙ্গি বিতরণের জন্য হাজারো গরিব মানুষকে জড়ো করে দিনভর বসিয়ে রেখে অবর্ণনীয় কষ্ট দেবার নজিরও মাঝে মধ্যে চোখে পড়ে। হুড়োহুড়িতে প্রাণহানির কথাও শোনা যায়। ভিক্ষুকের সংখ্যা এ সময়ে আশংকাজনক হারে বেড়ে যায়। পেশাদার ভিক্ষুক নয়, বলা যায়, মৌসুমি ভিক্ষুকে পথ ঘাট ছেয়ে যায়। গরিব মানুষগুলো এ সময় বাড়তি কিছু রোজগারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে। আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে পুরো রমযানে মানুষ শপিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সামর্থ্যের মধ্যে পরিবারের সবার পছন্দসই জামা কাপড় কেনা বেশ ঝামেলার ব্যাপার। তবু একাজটি করতে সবাই সানন্দ চিত্তে শপিং মলগুলোতে ভিড় করেন। এ কাজে শিশু কিশোর ও মহিলাদেরই বেশী আগ্রহী দেখা যায়। দোকানিরা নির্ঘুম সময় কাটান দু’পয়সা বাড়তি মুনাফার আশায়। তবে অধিক হারে মুনাফা করার লোভে মানুষের উৎসবের আকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে পোশাকের মূল্য কয়েকগুণ বেশী নেবার অভিযোগ এক্ষেত্রে বেশ পুরোনো। পত্র পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোতেও রমযান কেন্দ্রিক খবর, বিজ্ঞাপন, ফিচার ইত্যাদির প্রাধান্য দেখা যায়। তাদের একটি নিয়মিত সংবাদ হলো সাহ্রি ও ইফতারের সময়সূচি জানানো।

পবিত্র রমযান মাসে উল্লিখিত এবং বহু অনুল্লিখিত ঘটনাক্রম একথাই জানান দেয় যে, ইসলাম এদেশে মানুষের কত গভীরতম পংকে গ্রথিত। যত অপপ্রচার ও আগ্রাসনই চালানো হউক না কেন, ইসলাম এদেশের মানুষের অন্তর, দেহ, কৃষ্টি-কালচার, জীবনাচার থেকে মুছে ফেলা যাবে না। মাটি ও মানুষের বিশ্বাসের সাথে গ্রথিত, প্রোথিত ও একীভূত বিষয় কি মুছা যায় ? উৎখাত করা যায় ? না, যায় না। ইসলাম এদেশে ছিল, ইসলাম এদেশে আছে এবং ইসলাম এদেশে থাকবে অনন্তকাল।