নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ জিপির ( গ্রামীনফোন) ইন্টারনেট বিড়ম্বনায় ভুগছে। গত ১৫ দিনের অধিক সময় ধরে গ্রামীণ ফোনের 4G,3G ইন্টারনেট সেবা চালু নেই; নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া এলাকায়। এছাড়া রবি ও এয়ারটেল এর গ্রাহকরাও হেলে-দুলে চলছে বলে জানান ঐ এলাকার ইন্টারনেট গ্রাহকগণ। রবি ও এয়ারটেল ডাটা প্যাকেজ সমূহ নিয়ে গ্রাহকরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়। এই বিড়ম্বনার কথা জানান,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর এলাকার ব্যবসায়ী আলী হাসেন। তিনি আরো জানান, ভিডিও চালু করলেই ৩০ সেকেন্ড পর পর চাক্কি ঘুরতে থাকে। এই সমস্যার কারণে প্রথমে কি দেখলাম,শেষে কি দেখলাম মেলাতে পারি না।
ঐ এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, এমনকি জিপি ( গ্রামীনফোন)অপারেটররা কথাও বলতে পারছে না। এই অবস্থায় অপারেটর পাল্টে অন্য কোম্পানির সিম ব্যবহার করছে গ্রাহকরা। অনলাইন কোচিং করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এছাড়া অনলাইন নির্ভর ব্যবসা বন্ধ রয়েছে গত ১৫ দিন ধরে।
এফ এ টেকনোলজির স্বত্বাধিকারী ফখরুল আজাদ বলেন, জিপির নেট বিড়ম্বনার টেকনোলজির অনলাইন সেবীদের ঠিকমতো সেবা দিতে পারছেনা তারা। গত দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে এই সমস্যা চলছে।
সাংবাদিক আবুল বশর নয়ন বলেন, ফোর জিতো নেই, এমনকি জিপি নেট ব্যবহার করে কারো সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছেনা। কল করলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ফোর জি সেবা বন্ধ থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে কৃষি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদুৎ বিল নিতে পারেনি প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকদের কাছ থেকে। এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা নিলয় ঘোষ বলেন,হঠাৎ ইন্টারনেট বা সারবার সমস্যার কারণে জুন মাসের শেষের দিকে বিদুৎ বিলসহ ব্যাংক হিসাব খোলাসহ নানান লেনেদন ও ব্যাংকিং কার্যক্রমে জটিলতায় ভুগছি। কোনো রকম বিদুৎ বিল নিতে না পেরে পার্শ্ববতী রামু উপজেলায় বা জনতা ব্যাংকে বিদুৎ বিল দিতে পরামর্শ দিয়েছি গ্রাহকদেরকে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ও রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার ব্যবসায়ী,বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগন তাদের নিয়মিত কার্যক্রম গুলি ইন্টারনেট সমস্যার কারণে সারতে পাচ্ছে না বলে অভিযোগে জানান।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের মাইমুন হক (২০) জানান,গত ১১ দিন আগে আমার জিপি সিমে ১ মাস মেয়াদে ৫০০ টাকার প্যাকেজ নিই। বর্তমানে সিমে প্রচুর ডাটা থাকার পরও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছিনা। আমি জিপি কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ কামনা করছি। নাইক্ষ্যংছড়ির বিছামারার সিরাজুল হক (৩৫) বলেন, জিপি সিমে ৭ দিন মেয়াদে প্যাকেজ নিই। বর্তমানে গত ১ দিন হল মেয়াদ শেষ কোন প্রকার ব্যবহার ছাড়া আমার ডাটা গুলি শেষ হয়ে গেছে। এর ক্ষতিপূরণ কে দিবে। ইন্টারনেট পরিসেবারয় ইউটিউব ছাড়া নানান অ্যাপস ও পরিষেবা রয়েছে। ওই সব সেবার কার্যক্রম গুলিতে ফোর জি নেট সেবা চালু না থাকায় প্রবেশ করা যাচ্ছে না। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর শ্রী শ্রী মন্দির এলাকার বাসিন্দা শিল্পু মল্লিক বলেন,নাইক্ষ্যংছড়িতে সব চাইতে খারাপ নেটওর্য়াক গ্রামীনফোন কোম্পানির। গ্রামীনফোন ডাটার প্যাকেজ ও কলরেটের অধিক দাম নিলেও সেবা হচ্ছে একদম নিম্নমানের। গ্রামীনফোনের প্যাকেজ নিয়ে গত দুই মাসে মেয়াদ শেষ হয়েছে ডাটা ও মিনিট সমূহ ব্যবহার করতে পারেনি। গ্রামীনফোন কাস্টমার কেয়ার হেল্প লাইনের ০২২২২২৮২৯৯০ ও ০১৭৯৯৮৮২৯৯০ নাম্বার সমূহে একাধিক বার যোগাযোগ করেও ডাটা ও জিপির ইন্টারনেট সমস্যার কোন রকম সমাধান পাওয়া যায়নি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।