আবুল কালাম, চট্টগ্রাম :

গণপরিবহন ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেইসবুক পেইজের পোস্টের কমেন্ট সেকশনে সম্মানিত জনগণ নানা বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। উত্থাপিত এ সকল বিষয়াদি সংক্রান্তে আমাদের মন্তব্য ফ্রিকোয়েন্টলি আসকড কোয়েশ্চেন্স হিসেবে নি‌ম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ

১। নুসরাত জাহানের মন্তব্যঃ আজকে কোনো বাসে স্টিকার লাগানো দেখলাম না, সব উঠিয়ে ফেলছে।

জবাবঃ- ডিজেল চালিত স্টিকার নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছেনা। “সিএনজি চালিত মোটরযান” লেখা স্টিকার কোন কোন পরিবহন খুলে ফেলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলা হয়েছে। সিএনজি পাম্প/স্টেশন গুলিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে স্টিকার ছাড়া কোন গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করা না হয়। এছাড়াও কোন বাসের বিরুদ্ধে স্টিকার উঠানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

২। ইসতিয়াক জাহাঙ্গীরের মন্তব্যঃ- স্যার,আপনারাও ইঙ্গিতে বলতে চাচ্ছেন, চার্ট অনুযায়ী ভাড়া দিতে। তা ভাড়া তো ৩৪% বেড়েছে। তাহলে ইপিজেড থেকে ৯ টাকার ভাড়া এখন কতো দাঁড়ায়। ঠিক আছে, তাও দেব। কিন্তু ব্লুবুকে উল্লেখিত যাত্রীর বেশি নিলে আমি যদি বাড়তি ভাড়া না দেই, তাতে কি আইন লঙ্ঘন হবে স্যার। আপনার সুচিন্তিত মতামত আশা করছি।
এবং একই সঙ্গে, গৃহীত টাকার বিপরীতে টিকেট কেন দেওয়া হয় না, তার প্রতিকারও চাই।

জবাবঃ- সরকারী প্রজ্ঞাপন অনযায়ী বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিংবা অন্য যে কোন অভিযোগের ক্ষেত্রে আমরা সব সময়ই সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করছি, গাড়ীতে চলাচল অবস্থায় ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশ কিংবা টোল ফ্রি নম্বর ৯৯৯ বা সিএমপি কন্ট্রোল রুম নাম্বার 630352/639022/630375 এ অভিযোগ জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়। অন্যথায় ভিন্নতর সময়ে অভিযুক্ত গাড়ীর নাম্বার ছাড়া কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না। তথাপি অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

৩। তারেক নিজামের মন্তব্যঃ- ধন্যবাদ আপনাদের মহৎ উদ্যোগগুলোকে। আপনারাই পারবেন সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি থেকে বাঁচাতে। আপনাদের জরুরি এবং কন্ট্রোল নং খুবই সময় উপযোগী। তারপরও যাত্রীরা ড্রাইভারের সাথে কথাকাটি/ বাড়াবাড়ি করতে ভয় পায়। কারন ড্রাইভার বা হেলপারদের আচরণ সম্পর্কে আমাদের সবার জানা আছে। আপনাদের যেহেতু প্রত্যেকটা রাস্তার মোড়গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান ট্রাফিক/সার্জন/কর্মকর্তা থাকে, আপনারা চাইলে নিজেরা আরো একটু যাচাই করতে পারেন ভাড়ার লিষ্ট টা আছে কিনা, যাত্রীরা স্বাভাবিক ভাড়ায় যেতে পারতেছেনা কিনা।
নতুন ব্রীজ থেকে জমিয়তুল ফালাহ পর্যন্ত তিন চাকার থ্রী হুইলারগুলো বহদ্দারহাট/মুরাদপুর/২ নং গেইট আবার কিছু জিইসি পর্যন্ত যায়। তাদের গাড়িতে আজ পর্যন্ত কখনো ভাড়ার লিষ্ট দেখি নাই। ভাড়া সরকার নির্ধারিত এর চেয়ে ১০০% থেকে ২০০% পর্যন্ত বেশি আদায় করতেছে। আপনারা ব্যবস্থা নিয় আমাদের হয়রানি থেকে বাঁচান।

জবাবঃ- থ্রি হুইলার গাড়ীর কোন ভাড়ার চার্ট বিআরটিএ হতে পাওয়া যায়নি। সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার গাড়ীতে পূর্বের ভাড়া প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হল।

৪। ডিউক ভাই এর মন্তব্যঃ-আগ্রাবাদ এলাকায় কবে নজর দিবেন? সন্ধ্যায় হকারের যন্ত্রনায় রাস্তায় হাঁটা যায়না। আগ্রাবাদ মোড় থেকে শুরু করে লাকী প্লাজার শেষ মাথা পর্যন্ত হকার, রিকশা, সি এন জি, মোটর সাইকেল দাড়িয়ে থাকে যা অবৈধ পার্কিং। এসবের জন্য রাস্তায় হাঁটা যায়না। পুরো রাস্তা স্থির গাড়ি, হকার এসবের জন্য জ্যাম হয়ে থাকে। এদিকে দয়া করে নজর দিন।

জবাবঃ- মূল সড়কের উপর যে সকল ভাসমান হকার দোকান বসানোর চেষ্টা করে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে উঢ্ছেদ করা হয় অর্থাৎ গাড়ি চলাচলের রাস্তায় তাদের দোকান সমূহ বসতে দেয়া হয়না। তবে ফুটপাতে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে অফ পিক আওয়ারে মাঝে মাঝে এই সকল দোকানসমূহ অপসারণ করা হয়। বিষয়টি ডিসি ,অপরাধ পশ্চিমকে অবহিত করা হয়েছে। আশাকরি অতি শীঘ্রই দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।

৫। সুব্রত সরকারের মন্তব্যঃ- ৩ নাম্বার রুটে যা তা অবস্তা। যেন দেখার কেউ নেই। মার্কেট থেকে ভার্সিটি পর্যন্ত যাওয়ার নিয়ম থাকলেও তারা ইচ্ছা মত রুট পরিবর্তন করে। বেশির ভাগ গাড়ি অক্সিজেন না হয় মুরাদপুর নামিয়ে দিবে।তারপর আবার মার্কেট যাবে। মানে জনগনের ডাবল ভাড়া যাচ্ছে। আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

জবাবঃ- ৩নং রুটের বাসের ভিতর ও বাহিরে সিএনজি চালিত ও ভাড়ার চার্ট লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। রুট সম্পূর্ন না করা ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফলে গত ১৬/১১/২০২১খ্রিঃ থেকে ১৭/১১/২০২১খ্রিঃ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে মোট ১৫টি মামলা এবং ৯টি গাড়ী আটক করা হয়। এছাড়াও সমিতি, চালক, সহকারী সবার সাথে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

৬। জাহাঙ্গীর হোসেনের মন্তব্যঃ- বন্দরটিলা থেকে জিইসির বাস ভাড়া পূর্বে ছিল ১০ টাকা। সরকার বাসভাড়া বাড়িয়েছে সর্বোচ্চ ২৭%। সে হিসেবে বর্তমান ভাড়া ১৩ টাকা হওয়া উচিত। কিন্তু আজ ১০ নং রুটে আমার কাছে বন্দরটিলা থেকে ওয়াসা পর্যন্ত ২০ টাকা দাবী করল। প্রতিবাদ করায় বাসের কন্ডাক্টর বললো, “আরা তো ন বাড়াই, সরকার বাড়াইয়েদ্দে যে।” এই বলে সে একটা বিআরটিএ’র কর্তা ব্যক্তিদের স্বাক্ষর করা একটি ভাড়ার চার্ট দেখতে দিলেন। লক্ষ্য করে দেখি কন্ডাক্টর ভুল কিছু বলেননি, বন্দরটিলা থেকে জিইসি’র ভাড়া ১৯ টাকা, ওয়াসায় কোন স্ট্যান্ড নেই, তার মানে পরবর্তি স্ট্যান্ড এর ভাড়াই প্রদেয়। অগত্যা ২০ টাকাই দিতে হলো। বাসের কন্ডাক্টর বাস ভাড়ার সমীকরণ মিলিয়ে দিতে পারলেও আমি কিন্তু একটা সমীকরণ মিলাতে পারছি না। তাহলো সরকার কর্তৃক ৩০% বাস ভাড়া বৃদ্ধির কাগুজে ঘোষণাটা বাস্তবে ১০০% কিভাবে হলো সেই মোজেজাটা বুঝতে পারলাম না। শুভকংরের ফাঁকি কি একেই বলে।

জবাবঃ- সরকারী প্রজ্ঞাপন অনযায়ী বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিতি চার্ট অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে। এ ধরনের হয়রানির শিকার হলে 999 বা সিএমপি’র কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে 630352/639022/630375 এ অভিযোগ করলে তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৭। এস.কে. বাবলুর মন্তব্যঃ- অসাধারণ সিস্টেম, প্রতিদিন আপডেট পেতে চাই। আমরা সাধারন জনগন। এমন প্রক্রিয়া চালু থাকলে পরিবহন নৈরাজ্য কমে যাবে, সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। সিইপিজেড, হতে সিমেন্ট ক্রসিং হয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সিএনজি চালিত গাড়িগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এই বিষয়টা একটু দেখলে ভালো হবে।

জবাবঃ- বিষয়টি ডিসি- ট্রাফিক(বন্দর) কে অবহিত করা হয়েছে। আশাকরি অচিরেই সুফল পাবেন।

৮। মহিউদ্দিন মোহাম্মদ সোহাগের মন্তব্যঃ- প্রিয় সিএমপি, চট্টগ্রাম ২নং গেইট হতে অক্সিজেনগামী যে গাড়িগুলো চলে তারা খুবই বেপরোয়া। আপনারা যে স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছিলেন স্টিকার গুলো হয় তারা তুলে ফেলেছে অথবা লাগানো হয়নি। তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে এবং ২নং গেইট রেল লাইনের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়। যাত্রীদের মেয়র গলির আশেপাশে নামিয়ে দেয়। তাদের এই বেপরোয়া স্বভাবের কারণে আমরা সাধারণ জনগণ খুবই ভোগান্তিতে আছি দয়া করে ব্যবস্থা নেবেন।

জবাবঃ- গাড়ীগুলো বেশিরবাগই নিজস্ব রুট সম্পূর্ন না করে ফিরে যায়। এ সকল গাড়ির বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তদুপরি আপনার এ ধরনের হয়রানির শিকার হলে 999 বা সিএমপি’র কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে 630352/639022/630375 এ অভিযোগ করলে তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৯। মহিউদ্দিন মোহাম্মদ সোহাগের মন্তব্যঃ গতকাল (১৬/১১/২১) ২ নং গেইট হতে শেরশাহ ভাড়া নিয়েছে ১০ টাকা, স্টিকার কই জানতে চাইলে বলল “পুলিশের কাছে যান, এই রোডে এখনো স্টিকার লাগাইনি” তাই সি এম পি এর প্রতি অনুরোধ ওদের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার।

জবাবঃ- সকল বাস/মিনিবাসে ভাড়ার চার্ট লাগানো হয়েছে। থ্রি হুইলার গাড়ীর কোন ভাড়ার চার্ট বিআরটিএ হতে পাওয়া যায়নি। সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার গাড়ীতে পূর্বের ন্যায় ভাড়া প্রদান করবেন।

১০। মোঃ নুর ইসলাম রাকিবের মন্তব্যঃ-একটা বিষয় না বললেই নয় আজকে আমি জি ই সি থেকে কাটগড় আসলাম। প্রত্যক স্টপে ভাড়ার ব্যাপারে বাস হেলপার ও সাধারণ মানুষের ঝগড়া বিবাদ লেগেই রয়েছে। এক এক বাস এক এক রকম ভাড়া দাবি করছে।

জবাবঃ- বাস/মিনি বাসে লাগানো ভাড়ার চার্ট অনুযায়ী ভাড়া প্রদান করবেন।

১১। আবদুর রহমান সবুজের মন্তব্যঃ-অবৈধ ব্যটারী চালিত রিকশা গুলোর কারনে আজ আমরা দিশেহারা, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,খুলশী থানা এরিয়া, বয়োজিদ থানা এরিয়া, বাকলিয়া থানা এরিয়া, এই রিকশা গুলো চলে, আপনারা একটু খেয়াল করলে আমার মনে হয়, এই অবৈধ ব্যটারী চালিত রিকশা বন্ধ হয়ে যাবে।

জবাবঃ- গত ০১/১১/২০২১খ্রিঃ হতে ১৭/১১/২০২১খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত অবৈধ ব্যাটারী রিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৪৯১ টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা আটক পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। অবৈধ ব্যাটারী রিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে।

১২। সাঈদুল হক সাঈদের মন্তব্যঃ-নতুন ব্রীজ থেকে ওয়াসা পযর্ন্ত যে ছোট লোকাল গাড়ি (মাহিন্দ্রা)গুলো চলে ঐগুলা মাঝখানের সিটে তিন জনের জায়গায় চার জন করে নেয়,যা অতি ঝুঁকিপূর্ণ,এই বেপারে সিএমপির কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

জবাবঃ- উক্ত রুটে গতকাল তিনটি গাড়ীতে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

১৩। সৈয়দ আসাদুজ্জামান লিমনের মন্তব্যঃ- ভাটিয়ারী থেকে ছেড়ে আসা সাত নাম্বার বাস গুলো নিউ মার্কেট পর্যন্ত যায়। এই সাত নাম্বার গাড়িগুলো বেশিরভাগই সিএনজি কিন্তু ভাড়া নেয় ডিজেল চালিত গাড়ির। কিছু বলতে গেলে দুর্ব্যবহার করে যাত্রীদের সাথে। যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় তাহলে যাত্রীগণ উপকৃত হবে। আপনাদের এই কার্যক্রম যদি ধারাবাহিকভাবে থাকে তাহলে সাধারন জনগণ উপকৃত হব।

জবাবঃ- পর্যায়ক্রমে প্রতিটি গণপরিবহনে স্টিকার ও ভাড়ার চার্ট লাগানো হচ্ছে। ভাড়ার চার্ট দেখে ভাড়া দিবেন। অতিরিক্ত যাত্রীবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

১৪। এম. ফয়সালের মন্তব্যঃ- খুব ভালো উদ্যোগ। তবে একটা সময় ঠিক করে দিন যে এত তারিখ থেকে যে গাড়িতে স্টিকার থাকবে না সে গাড়িকে জরিমানা করা হবে। কারণ আমি গতকাল যাওয়ার পথে দেখলাম একটা গাড়িতে স্টিকার ছিড়ে ফেলছে।

জবাবঃ- অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। স্টিকার ছিড়ে ফেললে ট্রাফিক পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

১৫। এম. ফয়সালের মন্তব্যঃ- স্টিকার তারা ছিড়বেই সেজন্য পুরা গাড়িই রঙ করে দিতে হবে। পারলে গাড়ি ছিড়ুক।

জবাবঃ- প্রস্তাব ভালো । তবে সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ। পরিবহন মালিক সমিতিকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।

১৬। সাহাদাত হোসেনের মন্তব্যঃ অনুগ্রহ করে স্টিকারগুলো গাড়ির বাহিরে না লাগিয়ে ভিতরে লাগালে ভালো হবে। কুয়াশায় ভিজে ছিঁড়ে যাচ্ছে এগুলো।

জবাবঃ- স্টিকার গুলি ভিতর ও বাহির উভয় পার্শ্বে লাগানো হচ্ছে।

১৭। মোহাম্মদ নাসেরের মন্তব্যঃ- ফতেয়াবাদ হতে নিউমার্কেটগামী ৩ নং বাস যত্রতত্র গাড়ি দাড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করে, এতে রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটে এবং রাস্তায় অনাকাঙ্ক্ষিত জ্যাম লেগে যায়। বিশেষকরে আতুরারডিপু মোড়ে জ্যাম লেগেই থাকে।

জবাবঃ- যত্রতত্র যাতে গাড়ি দাড় করিয়ে রাখতে না পারে সে ব্যাপারে সিএমপি’র ট্রাফিক পুলিশগন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। ক্ষেত্র বিশেষে অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

১৮। রনি বড়ুয়ার মন্তব্যঃ- ১/ফ্রি পোর্ট হতে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৫ নং বাস অপ্রতুল,তার পরিবর্তে অহরহ লেগুনা চলে, যেগুলোর সবই গ্যাসে চালিত (সিটের নিচে সিলিন্ডার থাকে)। কিন্তু ওই পথে ১০ টাকার ভাড়া গ্যাসে চালিত অবৈধ লেগুনা গুলো জোর করে ১৫ টাকা নেয়। প্রতিবাদ করলে মারমুখী হয়।এসব গাড়ির নাই কোন স্টিকার।
এ বিষয়ে সিএমপি’র যথাযথ কার্যকরী উদ্যোগ আশা করছি। ১৫,১১, ৯ নং ঘাট হয়ে,বিজয়নগর, বিমানবন্দরের আশেপাশের হাজারো মানুষ প্রতিদিন ওই রুট ব্যবহার করে।
২/ নগরীর বাস গুলোর ভাড়ার চার্ট মুলত সিট ক্যাপাসিটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সিটের সমপরিমান যাত্রী নিবে চার্ট দেখে ভাড়া কাটবে। কিন্তু বাসগুলো সিটের বাইরে দাঁড়িয়ে নেয় আরো ২০/৩০ জন। কিন্তু ভাড়া দাবী করে চার্টের মতই।
এতে সাধারণ যাত্রী হয়রানি হচ্ছে বহুদিন যাবত। প্রতিদিন ড্রাইভার হেল্পারের সাথে বাকবিতন্ডা হয় যেটা কাম্য নয়। বিষয়টা দেখার অনুরোধ রইলো।

জবাবঃ- ডিজেলের দাম বাড়ার অজুহাতে বা অন্য কোন কারনে সিএনজি চালিত কোন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোন সুযোগ নেই। এ সকল গাড়ির বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তদুপরি আপনারা এ ধরনের হয়রানির শিকার হলে 999 বা সিএমপি’র কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে 630352/639022/630375 এ অভিযোগ করলে তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১৯। সোহেল নূর এর মন্তব্যঃ- ৩ নং বাসে বেশির ভাগ সময়ই নিউমার্কেট থেকে এসে অক্সিজেনে যাত্রী নামিয়ে দেয়। আবার অক্সিজেন থেকে মুরাদপুর ভাড়া মারে। এটা গত পরশুও ঘটেছে।

জবাবঃ- ৩নং রুটের বাসের ভিতর ও বাহিরে সিএনজি চালিত ও ভাড়ার চার্ট লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। রুট সম্পূর্ণ না করা ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফলে গত ১৬/১১/২০২১খ্রিঃ থেকে ১৭/১১/২০২১খ্রিঃ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে মোট ১৫টি মামলা এবং ৯টি গাড়ী আটক করা হয়। এছাড়াও সমিতি, চালক, সহকারী সবার সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

২০। এম.আই. নিয়ন এর মন্তব্যঃ- ২নং গেইট থেকে চকবাজার আগে টেম্পুতে যেতাম ৫ টাকায়,আর এখন সিএনজি চালিত ছোট টেম্পু গুলো ১০ টাকা নেয়। অথচ ২ নং গেইট থেকে অক্সিজেনের ভাড়া ৭ টাকা এবং দূরত্ব ও ২ গুণের বেশি। এদিকে ২নং গেইট থেকে চকবাজারের দূরত্ব কম হওয়ার পরও বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। সিএমপি এর কাছে অনুরোধ রইল,এ বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার।

জবাবঃ- অতিরিক্ত যাত্রীবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে জরুরী সেবা 999 বা সিএমপি’র কন্ট্রোল রুমের নাম্বার 630352/639022/630375 এ অভিযোগ করলে তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২১। মোঃ নাইম এর মন্তব্যঃ- সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ৩ নং এর বিরুদ্ধে, এরা যেভাবে নগরীতে নৈরাজ্য শুরু করেছে ভাড়া নিয়ে। এদের শক্তহস্তে দমন করুন।

জবাবঃ- ৩ নং রুটের বাস এর যাত্রী হয়রানির বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা-
৩ নং রুটের সকল বাসের ভিতরে ও বাহিরে সিএনজি চালিত স্টীকার ও ভাড়ার চার্ট লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাস মালিকদের অবহিত করা হয়েছে। ড্রাইভার, হেল্পারদের রোড সম্পন্ন করা ও চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও রোড সম্পন্ন না করা ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে গত ১৬-১১-২০২১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮-১১-২০২১ খ্রিস্টাব্দে তারিখ দুপুর ১৪.১০ ঘটিকা পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে মোট ১৮ টি মামলা এবং ১১ টি আটক করা হয়। শহরের বিভিন্ন মোড়ে মামলা এবং আটক হওয়ার কারণে উক্ত গাড়িগুলোর অপরাধের প্রবণতা কমে আসছে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।