অনলাইন ডেস্ক: সুষ্ঠু ও অবাধ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে বিরোধীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ চলাকালীন সংঘর্ষে এক কর্মী নিহত এবং শতাধিক আহতের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার (২০ জুলাই) সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ক্যাম্পেইনার ইয়াসমিন কবিরত্নে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা, বিক্ষোভে পুলিশি বলপ্রয়োগ এবং ভিন্নমতের কণ্ঠের ওপর ক্রাকডাউন বেশ উদ্বেগজনক হারে লক্ষ করা যাচ্ছে।’
‘কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সহজতর করার পাশাপাশি তা রক্ষা করা এবং বলপ্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ যাতে অহিংস উপায় অবলম্বন করে তা নিশ্চিত করা। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সংযম প্রদর্শন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আন জানাচ্ছে সংস্থাটি।’
কবিরত্নে বলেছেন, একটি ন্যায্য আইন বাস্তবায়নে বলপ্রয়োগের যেকোনো ব্যবহার কঠোরভাবে প্রয়োজন তবে তা হতে হবে আনুপাতিকভাবে।
সংঘর্ষে নিহতের বিষয়টি অবিলম্বে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, যাতে করে অপরাধীরা জবাবদিহি ও বিচারের আওতায় আসে। জনগণকে প্রতিবাদ ও ভিন্নমত প্রকাশে মুক্ত থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘মত প্রকাশ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকারগুলো মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে সংরক্ষিত রয়েছে এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিতে সুরক্ষিত রয়েছে যা বাংলাদেশ সমর্থন করে।
জনগণকে প্রতিবাদ ও ভিন্নমত প্রকাশে মুক্ত থাকতে হবে। তাদের কণ্ঠস্বর বন্ধ করে, সরকার ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশে ভিন্ন রাজনৈতিক মতামত সহ্য করা হবে না।’ একাধিক সংবাদমাধ্যম পুলিশ কর্তৃক অস্ত্রের নির্বিচার ব্যবহার এবং বিরোধী নেতাদের গ্রেফতারের খবর দিয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশেবিরোধী নেতাদের ওপর হামলা এবং বিক্ষোভ দমনের নথিভুক্ত করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
-বাংলাভিশন
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।