রামু প্রতিনিধি:
রামুতে রাতের আঁধারে শতাধিক সুপারী ও কলা গাছ কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহষ্পতিবার, ২০ জুলাই ভোর সাড়ে চারটায় রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মাস্টার মোহাম্মদ ফেরদৌসের ছেলে আবুল মনছুরের বাগানে বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার রাতে রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবুল মনছুর।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- আবুল মনছুর নিজ মালিকানাধিন জমিতে ৩ বছর পূর্বে সুপারী, কলা গাছ সহ বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষের বাগান সৃজন করেন। কিন্তু বাগান সৃজন করার সময় এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় চক্রটি বিভিন্ন সময়ে মনছুরের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর অপচেষ্টা শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে বৃহষ্পতিবার ভোরে তার বাগানে ৩ বছর আগে রোপন করা শতাধিক সুপারী, কলা গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বৃক্ষ কেটে দেয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে- ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মেরংলোয়া গ্রামের নুরুল হাকিমের ছেলে নুর হোসেন সুজন, নুর হাসান স¤্রাট, মৃত মদন আলীর ছেলে নুরুল হাকিম, ৮নং ওয়ার্ডের মধ্যম মেরংলোয়া গ্রামের আহমদুর রহমানের ছেলে খোরশেদ আলম ও নুরুল আলম, শাহ আলমের ছেলে আবছার প্রকাশ লালার নেতৃত্বে আরও অজ্ঞাত ৫/৬ জন ব্যক্তি শতাধিক ফলজ গাছ কেটে দেয়ার ঘটনাটি সংগঠিত করেছে।
এলাকাবাসী জানান- শতাধিক ফলজ বৃক্ষ কেটে দেয়ার ঘটনাটি চরম অমানবিক। বৃক্ষের সাথে এমন শত্রæতা কারো কাম্য নয়। জমির মালিকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বা আইনীভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া যেত। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই এ ধরনের ঘটনা পুরো গ্রামবাসীকে মর্মাহত করেছে। এ ঘটনার কঠোর আইনী ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় ভবিষ্যতে আবারও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসয়।
বাগান মালিক আবুল মনছুর জানান- এ ঘটনায় বাগান মালিকের লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন- এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। সরেজমিন তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।