অনলাইন ডেস্ক: মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত) এর প্রশংসনীয় উদ্যোগে টেকনাফে ১৫ বছর পর মানসিক রোগী নজু শেখ (৫৫)কে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এটি ৩৩ তম মানসিক রোগী নিজ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর। মারোত এর আগে আরও ৩২ জন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। ২০শে নভেম্বর দুপুর ১২.৩০ মিনিটে এক অনাড়ম্বর অনুষ্টানে নজুকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত) এর সভাপতি আবু সুফিয়ান জানান, মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার দীঘা গ্রামের বাসিন্দা নজু শেখ । পনের বছর আগে বাড়ীর বাহির ঘুরতে গিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল আর ফিরেনি । মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ঘুরতে ঘুরতে চলে আসে টেকনাফ এলাকায়। ঘুরাঘুরি করত, তাকে কেউ তেমন চিনতে পারেনি। নিয়মিত মারোত এর খাবার নিয়ে খেত। কিছুদিন আগে শাহপরীদ্বিপ র মারোত সহসভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া র দৃষ্টিতে পরে এক মানসিক রোগী অসুস্থ অবস্থায় নয়াপাড়া বাজারে ঘুরাঘুরি করত। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সদস্য রাশেদ র তত্বাবধানে ছিল। ইতিমধ্যে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে ঝুন্টু বড়ুয়া ঐ মানসিক রোগীর নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা মানসিক রোগী নজুকে তাদের মাঝে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।
ইতিমধ্যে নজু আবার হারিয়ে যায়, সপ্তাহের মত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সাবরাং বাজারে নজুর সন্ধান পেলে আবারও ঝুন্টু বড়ুয়া পরিবার র নিকট খবর দেন। সে সুত্র ধরে তার দুই আত্নীয়স্বজন তাকে নিতে মাগুরা থেকে টেকনাফ আসেন। তার মেঝ ভাই মহিউদ্দিন শেখ উপস্থিত ছিলেন। মারোতের পক্ষ থেকে তাদেরকে রিসিভ করে পরিবার পরিজনদের সাক্ষাতের সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মানসিক ভারসাম্যহীন নজুকে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়ার সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত) এর সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সার্জিক্যাল ডটকম মারোত অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠন এর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল, উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম, সমাজসেবী মোহাম্মদ ফেরদৌস , সহসভাপতি ডাঃ ঝুন্টু বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক রাজু পাল, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন ভুঈয়া, আইটি সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী, মোহাম্মদ রাশেদ, রফিকুল ইসলাম, মাজেদ, হারুন রশীদ, একরাম সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। হস্তান্তর শেষে মারোত এর পক্ষে ভিক্টিম এর পরিবার র নিকট চিকিৎসা খরচ এর জন কিছু নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া টেকনাফ হাসপাতালর মানবিক চিকিৎসক ডাঃ প্রণয় রুদ্র সহ কিছু মানবিক ব্যাক্তি র উদ্যোগে টেকনাফ টু ঢাকা পর্যন্ত গাড়ী ভারা প্রদান করা হয়েছে। এসময় ভিক্টিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মারোতকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।