ফরিদুল মোস্তফা খান :
বাংলাদেশ পুলিশের সাথে আমার কোন শত্রুতা অতীতে ছিলনা,এখন নেই,ভবিষ্যতেও থাকবেনা ইনশাআল্লাহ।
স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে এই পর্যন্ত মানুষের জানমালের নিরাপত্তাও আইনশৃংখলা উন্নতির জন্য সুশৃংখল এই বাহিনীর প্রতি বরাবরের মত আমার ও অশেষ আস্থা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে।
এজন্য এবং পেশাগত কারনে আমার দুই দশকের সাংবাদিকতা জীবনে পুলিশের অগুনিত ওসি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ট এমনি তুই- তুকারী সম্পর্কও রয়েছে।
যারা একসময় কক্সবাজার জেলায় চাকুরী করে বর্তমানে অবসর বা দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় এখন পেশাদারিত্বের সাথে মানবসেবায় কাজ করছেন।
একজন ওসি প্রদীপ কিংবা কয়েকজন বিপদগামী মানসিক অসুস্থ পুলিশ সদস্যের সীমালংগনের জন্য যা আমার হয়েছে,হচ্ছে এবং অদুর ভবিষ্যতে হবে তা আমার ব্যাক্তিগত রাগ অনুরাগ বা অন্যকোন স্বার্থের জন্য নয়।
ন্যায় অন্যায় এবং পেশাগত দায়িত্বের বাইরে মহান আল্লাহ ছাড়া আমি কারো তাবেদারী করিনা।
কোন অস্ত্র- শস্ত্র জেল জুলুম হামলা মামলা খুন ঘুমের ভয় আমাকে দেখিয়ে দমিয়ে রাখা সম্ভব অতীতে হয়নি।
ভবিষ্যতে হওয়ার স্বপ্নটা বোকার সংগে স্বর্গে বসবাস বা দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়।
কথা পরিস্কার, আমি পুলিশ বাহিনীর শত্রুু নই, পেশার কারনে শত্রুু সীমা লংগন কারীদের।
অতএব আমাকে যারা পুলিশ বিদ্বেষী সাংবাদিক বলে গোপন উস্কানী দিয়ে এই বাহিনীর সাথে দুরত্ব তৈরীর অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন,তারা শুধু আমার শত্রু নই।
এরা বাংলাদেশ পুলিশ,গনমাধ্যম দেশ মাটি মানুষ ও সরকারের শত্রুু।
কারন পেশাগত দিক দিয়ে আমি আবেগী? বিবেকী? পুলিশের শত্রু নাকি বন্ধু বর্তমানে চটগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি জনাব নুরে আলম মিনা মহোদয় সহ কক্সবাজারে কর্মরত ছিলেন,এখন যে যেখানেই আছেন সেখানেই জানেন।
কারন পেশাগত কারনে তারা আমাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন,চিনেন এবং জানেন।
অতএব প্রদীপ কান্ডের পর থেকে যারা বিষয়টি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যাস্থ রয়েছেন,অনুগ্রহ করে সুপথে ফিরে আসুন।
এতে কারো কল্যান না হলেও অন্তত আপনার নিজের কল্যান হবে এটা আমি শতভাগ নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।
পরিশেষে বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত দায়িত্বশীলদের প্রতি অনুরোধ পৃথিবীতে ওই মানুষ টাই উত্তম ও ন্যায় বিচারক, যে কৃত অপরাধের জন্য নিজের পিতা মাতা ভাই বোন বা খুব প্রিয় জনদের প্রাপ্য শাস্তি সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেন।
মানে একজন বিপথগামী ওসি প্রদীপের জন্য দয়া করে পুরো বাহিনীর প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধা ভালোবাসা বিশ্বাস রয়েছে তা নষ্ট করবেননা।
তাকে তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ,সরকার, বিচার বিভাগ ও গনমাধ্যমের ভাবমূর্তি উজ্জল রাখুন।
মানুষের অভিশাপ মুক্ত হয়ে ইহকাল ও পরকালে লাভ মান হোন,প্লীজ।
– লেখক ওসি প্রদীপের নির্যাতিত সাংবাদিক। দৈনিক কক্সবাজারবাণীর সম্পাদকও প্রকাশক।
‘আমি পুলিশ বিদ্বেষী সাংবাদিক নই’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
