এম.এ আজিজ রাসেল :
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার তিন বনকর্মীকে উদ্ধার করেছেন পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জোবাইর ও রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে হ্নীলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনীর গহীন বন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে ২০ বছর বয়সী মো. শাকের, একই এলাকার বকছু মিয়ার ছেলে ৪২ বছরের আবদুর রহমান ও আবদুর শুক্কুরের ছেলে ৪৬ বছরের আবদুর রহিম।
এই তিনজন বেসরকারি সংস্থা নিসর্গের অধীনে বন পাহারাদার হিসেবে কর্মরত। এর আগে শুক্রবার বিকেলে মোচনী বিটের নেচার পার্ক পাহারা দেয়ার সময় তাদের অপহরণ করা হয়।
তিন বনকর্মী উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি জোবাইর সৈয়দ। অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের এমন ভূমিকায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বারবার অপহরণের ঘটনা ঘটলেও মুক্তিপণ দেয়া ছাড়া কেউ ফিরে এসেছে এমন কথা শুনি নাই। এবারই প্রথম আমাদের সবার প্রচেষ্টায় উদ্ধার হয়।
তিন বনকর্মী উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি জোবাইর সৈয়দ। অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের এমন ভূমিকায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। ‘আমাদের সঙ্গে এলাকার লোকজন পুলিশ, বনবিভাগের কর্মকর্তা ও সিপিজির সদস্যরা এত সময়ের মধ্যে মানুষগুলোকে উদ্ধার করেছে, তাই সবাই খুশি।’
উদ্ধার হওয়া মো. শাকেরের বড় ভাই মো. আয়ুব বলেন, ‘অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মোবাইলে ফোন করে আমার কাছে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। পুলিশ ও বনবিভাগের সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী তিন দিন ধরে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।’
এ বিষয়ে টেকনাফ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘অপহৃত তিন সিপিজির সদস্যকে সবাই মিলে উদ্ধার করতে পেরেছি তাই আল্লাহর দরবারে বিশেষ শুকরিয়া জানাই। তবে তাদের কারা অপহরণ করছে, এ বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।