ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কুতুবদিয়ার আবাসিক প্রকৌশলী আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেওয়ায় স্থানীয় সংবাদকর্মী হাসান মাহমুদ সুজনকে হেনস্তা ও অস্রাব্য গালমন্দ করা হয়েছে। হুমকি দিয়েছেন প্রাণনাশের।

সরকারি দায়িত্বে থেকে নিজের অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে এমন আচরণের অডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সাংবাদিক পাড়ায়। শাস্তির দাবি উঠেছে সবখানে।

হাসান মাহমুদ সুজন কক্সবাজারের একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিনিধি। কাজ করেন কক্সবাজারের প্রথম অনলাইন সিবিএনে। তিনি কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সদস্যও।

ঘটনার বিষয়ে হাসান মাহমুদ সুজন জানান, সম্প্রতি কুতুবদিয়া বায়ো বিদ্যুৎ অফিসে মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে। সেই বক্তব্য নিতে এবং নিজ বাড়িতে বৈদ্যুতিক খুঁটির আবেদনের জন্য ১০ অক্টোবর সকালে পিডিবির কার্যালয়ে যান তিনি। সেখানে পিডিবির প্রকৌশলী আবুল হাসনাত কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দেয়।

যার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই অডিওতে পিডিবির প্রকৌশলী আবুল হাসনাত সাংবাদিক সুজনকে বলতে শোনা যায় “আমার বিরুদ্ধে নিউজ করস! পিটাইয়া পিঠের চামড়া তুলে ফেলবো। চিনস তুই আমারে? ফাজিলের বাচ্চা ফাজিল।”

তিনি রাগান্বিত হয়ে আরো বলেন, সাংবাদিকের “স” চিনস? আমি সাংবাদিক পকেটে রাখি। তুই চিনস না আমাকে। আজকে তোরে বাঁধবো। মামলা খাইলে খাবো। তুই বাল ফেলাইন্না সাংবাদিক!”

হাসনাত আরো বলেন, “আমাগো সোনা চিকন দেইখা লেখতেছ না? দুদকে অভিযোগ দিছস কেন?”

এদিকে অভিযোগের বিষয় স্বীকার করে পিডিবির প্রকৌশলী আবুল হাসনাত বলেন, “ওই সময় আমি খুবই উত্তেজিত ছিলাম। এসব করা আমার উচিত হয় নি। মূলতঃ আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নি। তাছাড়া তিনি সাংবাদিক আমি চিনতাম না।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবি চকরিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজুল হক কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। সাংবাদিক সুজনের বিষয়টি সমাধান করেছি।”

তিনি বলেন, “প্রকৌশলী আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে নাকি দুদুকে কমপ্লেইন দিয়েছেন সাংবাদিক সুজন। হয়তো সেকারণে তার রাগ-ক্ষোভ রয়ে গেছে।”

রাগ-ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে কোন আচরণ করা সরকারি চাকুরিবিধি বহির্ভূত কিনা? জানতে চাইলে স্বীকার করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজুল হক।

তিনি বলেন, “তাকে বকাঝকা করেছি। এই মুহূর্তে প্রকল্পের প্রয়োজনে দ্রুত সরানো যাচ্ছে না। তবুও কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা দেখছি। অ্যাকশনে যাচ্ছি। সময়ের ব্যাপার।”