নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারে ‘মৎস্যজীবী পরিবারের নারী সদস্যদের প্রথাগত অধিকার’ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) কক্সবাজার শহরের কলাতলীস্থ কোস্ট ফাউন্ডেশন এর কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহান।
তিনি বলেন, কারেন্ট জাল; চরজাল, বেহুন্দি জালের কারণে মাছের রেনু পোনা ধ্বংস হয়ে যায়। তাই সরকার এসব নিষেধ করেছে। মাছের ভান্ডার বাড়াতে বছরে দুই বার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। নিষেধাজ্ঞা মানলে নিজেরা লাভবান।
আর্থিক স্বাবলম্বিতা আনতে নিজেদের বাড়ির পাশের খালি জায়গায় শাক সবজি চাষের আহবান জানান সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহান।
কক্সবাজার সদর ও ঈদগাঁও উপজেলার জেলে পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও কক্সবাজার আঞ্চলিক টিম লিডার জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে জনসংখ্যার অভাব নাই। অভাব হলো সুশিক্ষার। জেলের ছেলে জেলে হবে না, শিক্ষিত হতে হবে। এ জন্য আমাদের স্বাবলম্বী ও সচেতন হতে হবে।
আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রয়োজনে বিকল্প আয়ের পন্থা বের করার আহবান জানান জাহাঙ্গীর আলম।
সুইচবায়ুর সহযোগিতায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামু উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব, সদর) ডাঃ অসীম বরন সেন, মেরিন ফিশারিজ অফিসার মোঃ আবদুল কুদ্দুছ, কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ইমাম খাইর।
অবহেলিত ‘মৎস্যজীবী পরিবারের নারী সদস্যদের প্রথাগত অধিকার’ সংক্রান্ত নানা তথ্য উপস্থাপন করেন প্রকল্প কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ।
সভায় জানানো হয়, সর্বশেষ হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬ হাজার ৪০৩ জন। সদর উপজেলায় মৎস্যজীবী গ্রাম ১০টি। ঘরে ঘরে গিয়ে জেলেদের তালিকা করা হয়েছে। এরপরেও কেউ বাদ পড়লে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করা হবে।