আব্দুস সালাম,টেকনাফ প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারী চক্রের ইয়াইছিন গ্রুপের প্রধান ইয়াছিনসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৫৮ জন ভিকটিম কে উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশী ও ৫৭ জন রোহিঙ্গা।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. ওসমান গনি।
জানা গেছে, টেকনাফ মডেল থানার বিশেষ একটি পুলিশ দল গোপন সংবাদে সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মানব পাচারকারী চক্রের ইয়াছিন বাহিনীর প্রধান টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মহেশখালীয়া পাড়ার আমজল হোসেনের ছেলে মোঃ ইয়াছিন (২৩), একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দরগারছড়ার জলু সওদাগরের ছেলে মোঃ জুবায়ের (৩৫), একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড উত্তর লম্বরী এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে নাজির হোছন (৬১) এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড লক্ষীনারায়নপুর রশিদ মিয়ার বাড়ীর পাশের তাজুল ইসলামের ছেলে রামিমুল ইসলাম রাদীদ (৩১) কে আটক করে। মানবপাচার চক্রের এসব দালালদের হেফাজত থেকে পাচারের জন্য জড়ো করে রাখা ৫৭ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশু একজন বাংলাদেশীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযান পরিচলানাকালে পুলিশ টীম টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকার বিজিবি সাইনবোর্ড সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কের পূর্ব পাশে পৌঁছালে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ওই চার দালালদের আটক করতে সক্ষম হলেও আরো অনেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৩৩ জন শিশু রয়েছে। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার হওয়া সকলে ক্যাম্পে বসবাসকারী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা। আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা ও পরিবেশগত অসহায়ত্বকে পুঁজি করে উন্নত জীবন-যাপন, অধিক বেতনে চাকুরী ও অবিবাহিত নারীদেরকে বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়া প্রতারণা পূর্বক ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে যৌন নিপীড়ন, প্রতারণামূলক বিবাহ ও জবরদস্তিমূলক শ্রমসেবা আদায় এর অভিপ্রায়ে ৩-৪ দিন যাবৎ ধাপে ধাপে দালালদের পরস্পর যোগসাজসে ভিকটিমদের ঘটনাস্থলে এনে পাচারের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। পরে পাচারকারীরা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের যোগসাজশে মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া ভিকটিমদের পাচার করে।
তিনি আরো জানান, সংঘবদ্ধ জড়িত মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টেকনাফে পাচারকালে শিশুসহ ৫৮ ভিকটিম উদ্ধার,৪ দালাল আটক
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
