পেকুয়া প্রতিনিধি;
কক্সবাজারের পেকুয়ায় নির্বাচনবিরোধী মিছিলের সময় বিএনপি সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায়
৩২ জনকে আসামি করে থামায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পেকুয়া থানার এসআই সৈয়দ সফিউল করিম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় আরও ৭ থেকে ৮শ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি উল্লেখ করে আসামি করা হয়।
মামলায় পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলার আসামি করা হয়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ আজাদ, ছাত্রদল নেতা সাঈদীকে।
মামলার বিষয় নিশ্চিত করে পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান,পুলিশ ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহ করেছে ঘটনার সাথে জড়িত ও ইন্ধন দাতাদের গ্রেফতারে কাজ করছে ।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন আসামীরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষ্যে পেকুয়া থানার নির্বাচনী মোবাইল টিম -১৫ ডিউটি করা কালে গত ০৬/০১/২০২৪খ্রিঃ বিকেল ৪টার সময় বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে সংবাদ পাই যে, পেকুয়া থানাধীন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ৪০০ গজ দক্ষিণে, সিকদার পাড়া, পেকুয়া টু চকরিয়া প্রধান সড়কের উপর হরতাল সমর্থনকারী কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক পেকুয়া টু চকরিয়া প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে বিভিন্ন দেশীয় তৈরি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সহ মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সড়কের উপর গাড়ি ভাঙচুরে করছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংগীয় ফোর্স সহ বর্ণিত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পাই যে, হরতাল সমর্থনকারী এজাহার নামীয় আসামীরা সহ অজ্ঞাতনামা আসামিগণ ঘটনাস্থল পেকুয়া থানাধীন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ৪০০ গজ দক্ষিণে, সিকদার পাড়া, পেকুয়া টু চকরিয়া প্রধান সড়কের উপর বিভিন্ন দেশীয় তৈরি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সহ মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থলের রাস্তায় চলাচলরত বাস, ট্রাক, সিএনজি এবং বিভিন্ন রকমের যানবাহন আটক করে ভাঙচুর করছে। উক্ত সংবাদে পেকুয়া সদর এলাকার নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজস্ট্রিট জনাব আ.ন.ম বদরুদ্দোজা মহোদয় ও বিজিবি টিম এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামীদেরকে হ্যান্ড মাইক দ্বারা ঘোষণা দিয়ে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে আসামীরা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে চরম বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং আমাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। আমরা আসামিদের নিবৃত্ত করার জন্য লাঠি চার্জ শুরু করার আগেই আসামীরা আমাদেরকে লক্ষ্য করে ফাঁকাগুলি বর্ষণ করতে থাকে। ভাৎক্ষনিক নির্বাচনী ডিউটি কাজে ব্যবহৃত রিকুইজিশন করা গাড়ি ও সরকারি গাড়িসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাধারণ জনতা এবং আমাদের নিজ জানমাল ও সরকারি সম্পদ অস্ত্রগুলি রক্ষার্থে ও উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করি।
দায়ের করা মামলায় অন্য আসামীরা হলেন রিজন পিতা-আমিন শরীফ,মোঃ মিজান পিতা-মোঃ রদিদার, মোঃ রনি পিতা-জাকির হোসেন, টুকু পিতা-মৃত সামছুল আলম,মাহমুদুল করিম পিতা-সামছুল আলম,সর্ব সাং-সিকদার পাড়া,৪নং ওয়ার্ড, বাচ্চু মিয়া পিতা আহম্মদ কবির,সাং-বাইম্যাখালী ২নং ওয়ার্ড,লিটন মিয়া পিতা -মোঃকালু,বেলাল উদ্দিন পিতা-মোঃ পেঁচু মিয়া,এরশাদ মিয়া পিতা-পুতুইন্যা,মনির আহম্মদ মনু পিতা-মৃত ফজল আহম্মদ, মোঃ রাজিব পিতা -জাহাঙ্গীর আলম, মোঃমিজান পিতা-নুরুল আলম,মনসুর আলম পিতা-মৃত বজরুক মাঝি,জাকির হোসেন পিতা-মৃত সোলেমান, মোঃ ফোরকান পিতা-রফিক আহমদ,আমজাদ হোসেন পিতা-মৃত ফয়েজ আহমদ,সর্ব সাং আন্নর আলী মাতবর পাড়া ৫নং ওয়ার্ড,মোঃ বাপ্পি পিতা-মোঃ হোছন,সাং-হরিনা ফাঁড়ি ৪নং ওয়ার্ড,মোঃ জয়নাল পিতা- মৃত বজল আহমদ, সাং-শেখের কিল্লাঘোনা ৫নং ওয়ার্ড,আলাউদ্দিন পিতা-জেবর মুল্লুক, সাং-উত্তর মেহেরনামা ৯নং ওয়ার্ড,মোঃইয়াছিন পিতা-মোক্তার আহমদ,সাং-সাবেকগুলদী,
টেকপাড়া ৬নং ওয়ার্ড,সর্ব ইউপি-পেকুয়া সদর, রাসেল পিতা-গিয়াস উদ্দিন, সাং-হাজিরাঘোনা ৮নং ওয়ার্ড,শিলখালী ইউপি,জসিম উদ্দিন পিতা-ফয়েজ আহমদ,মোঃ শাখাওয়াত পিতা-কামাল হোসেন,মোঃ বাবুল পিতা-বাদশা মিয়া,রাসেল মিয়া পিতা-আলী হোসেন,সর্ব সাং-মইয়্যাদিয়া,মোঃওয়াহিদ পিতা-মোঃ আরিফ,মোঃ নেছার মিয়া পিতা-মোক্তার আহমদ,মাহমুদুল করিম পিতা-মোস্তাক আহম্মদ,সর্ব সাং-বিলহাচুরা ৩নং ওয়ার্ড,পেকুয়া সদর ইউপিসহ অজ্ঞাত আরও ৭থেকে ৮শ জন।
বাদীর এজাহারে উল্লিখিত আসামি সকলেই বিএনপির নেতাকর্মী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।